হুগলি: নবমীর রাতে পুজো মণ্ডপে এক তৃণমূল নেতাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে দলেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে সেই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এভাবে প্রকাশ্যে মারধরের অপমান সহ্য করতে না পেরেই ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ উঠছে। নিহতের নাম অভিজিৎ অধিকারী (৪৮)। মগড়া-২ গ্রামপঞ্চায়েতের গজঘণ্টা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। অভিযোগের আঙুল তাপস অধিকারী-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে তাপস ওরফে ভুটান ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতিও ছিলেন। এখনও পদে আছেন।
অভিজিৎ ২০০৮ সাল থেকে মগড়া-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন। এখনও দল করতেন। অভিজিতের আত্মীয় তরুণ অধিকারী বলেন, “নবমীর রাতে অভিজিৎ মণ্ডপের কাছে গিয়েছিলেন। সিগারেট খাচ্ছিলেন। সেই সময় তাপস ওরফে ভুটানরা খুব মারধর করেন। মোট চারজন ছিলেন। এভাবে মারধরের কারণে অভিজিৎ হীনমন্যতায় ভুগছিলেন। তাই গলায় দড়ি দেন। থানায় অভিযোগও হয়েছে।”
যাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ সেই তাপসের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মারধরের কারণে অভিজিৎ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা তাপস অধিকারীর বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও দাবি তাঁদের।
এ নিয়ে হুগলি জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি শুনেছি। তবে পুরোপুরি পরিষ্কার না। তবে যাই ঘটুক না কেন মৃত্যু সবসময় অনভিপ্রেত। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে সেই ভুটানদার নামে আজ পর্যন্ত কোনও খারাপ কথা বা বাজে অভিযোগ পাইনি। এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যদি কেউ জড়িত থাকে এই মৃত্যুতে তাহলে তারা সাজা পাবেই। দল এ ব্যাপারে কোনও আপস করবে না। আইন আইনের পথেই চলবে।”