কামারহাটি ও চুঁচুড়া: রাত পোহালেই হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। তার আগে রাজ্যের নানা প্রান্তে বুধবার রাত থেকেই রুট মার্চ শুরু করে দিল পুলিশ (Police)। রুট মার্চ শুরু করল কামারহাটি থানার পুলিশ। রুট মার্চ করল চুঁচুড়া থানার পুলিশও। প্রসঙ্গত, রাম নবমীর ঘটনার পর থেকে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার আসতে শুরু করেছিল অশান্তির খবর। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছিল হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া। হনুমান জয়ন্তীতে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন।
এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে কামারহাটি থানার পুলিশ। এদিন কামারহাটি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মধুসূদন মণ্ডলের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী কমব্যাট ফোর্স নিয়ে কামারহাটি থানা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল রুট মার্চ করল। খানিক একই ছবি দেখা গেল হুগলিতেও। চুঁচুড়া থানার পক্ষ থেকে এলাকায় রুট মার্চ শুরু করল পুলিশ। খাগড়া জোল,সায়রা মোড়,পাঙ্খাটুলি, চক বাজার এলাকায় রুট মার্চ করা হয় সন্ধ্যা থেকে। চুঁচুড়া থানার আই সি অনুপম চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চলে বিভিন্ন মহল্লায় পুলিশি টহল।
চুঁচুড়া বড় বাজার, লেনিন নগর, মল্লিক কাশেম হাট-সহ বিভিন্ন জায়গায় হনুমান মন্দিরে পুজো হয়ে থাকে হনুমান জয়ন্তীর দিন। এইসব এলাকাতেও পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আবেদন করা হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। প্রসঙ্গত, হনুমান জয়ন্তীর আগে সতর্ক হাইকোর্টও। ইতিমধ্যেই হনুমান জয়ন্তীতে মিছিল করার জন্য প্রায় ১৬০টি আবেদন জমা পড়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। সেই মিছিলে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্বাগত জানিয়েছে বিজেপিও।