হুগলি: সম্প্রতি একাধিক জেলায় সোনার দোকানে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। আবারও সেই একই অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল শ্রীরামপুর। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর নাগাদ শ্রীরামপুর মল্লিক পাড়ার একটি সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে এক ব্যক্তি আসেন। দোকানির দাবি, সোনার কানের দুল আর লকেট দেখতে চেয়েছিলেন। খুব বড় দোকান নয়। দোকানি সামনেই দাঁড়িয়ে গয়না দেখাচ্ছিলেন। অভিযোগ, দোকানি একটু অন্য দিকে মন দিতেই তিন জোড়া দুল, লকেট সরিয়ে নেন ওই ব্যক্তি। এরপর দোকান থেকে বেরিয়েও যান।
ওই দোকানি লক্ষ্মীকান্ত সাঁতরা বলেন, “কাস্টমারকে জিনিস দেখাচ্ছি। একটা করে গয়না দেখিয়ে নিচে নামিয়ে রাখছিলাম। এক জোড়া রিং দেখানোর পর ওজন করতে বলল। এই ওজন করতে ব্যস্ত, সেই সময়ই আসল গয়না তুলে নিয়েছে।” এরপরই পুলিশের কাছে ছোটেন তিনি। সিঙ্গুরের বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্তবাবু জানান ৩৬ বছর ধরে শ্রীরামপুরে তিনি সোনার দোকান চালান। এমন ঘটনা কোনওদিনও ঘটেনি। এই ঘটনায় চিন্তিত এলাকার অন্যান্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও।
গত ২২ নভেম্বর শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডেই একটি সোনা গলানোর দোকানে আয়কর অফিসার সেজে এসে আড়াই লক্ষ টাকা ও সোনা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চারজন। যদিও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চন্দননগর কমিশনারেট তাদের গ্রেফতারও করে। ফের শ্রীরামপুরে সোনার দোকানে চুরি।
স্থানীয় তারাপুর ব্যবসায়ী কমিটির সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, “ক্রেতা সেজে এসেছিলেন। দোকানি বুঝতে পারেননি। একটা জিনিস রেখে আরেকটা জিনিস নিয়ে চলে গিয়েছে। পরে দেখেন আসল গয়না উধাও। ততক্ষণে দু’জন হাওয়া। দোকানি জানিয়েছেন ১৬ গ্রামের গয়না গিয়েছে। এখনকার বাজারদরে তা ১ লক্ষ ১০-১৫ হাজার টাকা তো হবেই।” ভরদুপুরে এরকম ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি বলে জানান তিনিও। পুলিশ তদন্ত করছে। এলাকার সিসিটিভিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।