TMC: মামলা চলছে কোর্টে, সেই জমিতেও পাঁচিল দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের দুই নেতার বিরুদ্ধে
Hooghly: ধীরেন্দ্রনাথের দাবি, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। স্থানীয় প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেয় আদালত। ধীরেন্দ্রনাথ জানান, আদালত যে জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, সেখানেই দুই তৃণমূল নেতা শেখ সিদ্দিকি ও শেখ শহিদ গায়ের জোরে পাঁচিল তুলে দেন।
হুগলি: রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জমি দখলে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তারকেশ্বরে দুই তৃণমূল নেতা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলে মদত দিয়েছেন। দাঁড়িয়ে থেকে পাঁচিল দিয়ে জমি ঘিরতে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত শেখ সিদ্দিকি ও শেখ শহিদ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তারকেশ্বরের বালিগড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাত্রপাড়া। জমি নিয়ে দুই পরিবারের শরিকিবিবাদ দীর্ঘদিন ধরে চলছে বলে অভিযোগ। ধীরেন্দ্রনাথ পাত্রের ৭ শতক জমি। অভিযোগ, সেই জমি দখলের চেষ্টা করছে তারই আত্মীয় মিতা পাত্র। এই অভিযোগ নিয়ে আদালতেও যান ধীরেন্দ্রনাথ।
ধীরেন্দ্রনাথের দাবি, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। স্থানীয় প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেয় আদালত। ধীরেন্দ্রনাথ জানান, আদালত যে জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, সেখানেই দুই তৃণমূল নেতা শেখ সিদ্দিকি ও শেখ শহিদ গায়ের জোরে পাঁচিল তুলে দেন। তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগও জানান ধীরেন্দ্রনাথ পাত্র।
যদিও তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি শেখ সিদ্দিকি বলেন, “লিখিত অভিযোগ করতেই পারেন। আমরাও তো গ্রামবাসী। এখানে রাজনীতির কোনও জায়গাই নেই।” অন্যদিকে শেখ শহিদ বলেন, “ধীরেন্দ্রনাথ পাত্র, বলাই পাত্র ও জগন্নাথ পাত্র তাঁদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ করে নিয়েছে। সেইমতোই একদিকে ধীরেন্দ্রনাথ পাত্রের ছেলে অভিজিৎ পাত্র বাড়ি করেছেন। মাঝখানে জগন্নাথ পাত্রর জায়গায় আমরা কাজ করাচ্ছি। বলাই পাত্রের ছেলেও বাড়ি করেছেন। সকলে সকলের অংশেই যা করার করেছেন। তারপরও জগন্নাথ পাত্রের ছেলেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। মামলা দিয়ে ভয় দেখিয়ে জায়গা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তারই বিরুদ্ধে গ্রামের সকলে প্রতিবাদ করছেন।”