Baidyabati: গায়ে হলুদের অপেক্ষায় মেয়ের বাড়ি, খবর এল ‘হবু জামাই অ্যারেস্ট’…

Ashique Insan | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 05, 2024 | 6:29 AM

Hooghly: পাত্রীর মা বলেন, "সকাল থেকে বারবার ফোন করা হচ্ছে। প্রথমে ছেলের মা বলল মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে। শরীরে রক্ত নেই। তাই গায়ে হলুদ নিয়ে যেতে দেরি হচ্ছে। তখনই আমার মনে খটকা লেগেছে। পরে জানতে পারলাম অ্যারেস্ট হয়েছে হবু জামাই। শুনলাম ৯ বছর একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ে বলেছিল সংসার করে কী করে দেখে নেবে।"

Baidyabati: গায়ে হলুদের অপেক্ষায় মেয়ের বাড়ি, খবর এল হবু জামাই অ্যারেস্ট...
সাজানো বিয়েবাড়ি শুনশান।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হুগলি: গায়ে হলুদ আসতে দেরি হচ্ছে বলে মেয়ের বাড়ি থেকে ফোন করেছিল। এরপরই জানতে পারে হবু জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে এলাকার লোকজনের দাবি। এদিকে এই খবরে তো কপালে হাত মেয়ের বাড়ির। কান্নায় ভেঙে পড়েন পাত্রীর মা। বৈদ্যবাটি পুর এলাকার ঘটনা।

গত বছর নভেম্বর মাসে মগড়ার এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে বৈদ্যবাটির ওই পরিবার। সোমবার বিয়ে ছিল। পাত্রীর মা বলেন, “সকাল থেকে বারবার ফোন করা হচ্ছে। প্রথমে ছেলের মা বলল মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে। শরীরে রক্ত নেই। তাই গায়ে হলুদ নিয়ে যেতে দেরি হচ্ছে। তখনই আমার মনে খটকা লেগেছে। পরে জানতে পারলাম অ্যারেস্ট হয়েছে হবু জামাই। শুনলাম ৯ বছর একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ে বলেছিল সংসার করে কী করে দেখে নেবে। ওদের টানাপোড়েনে আমার ২২ বছরের মেয়েটার জীবন শেষ হয়ে গেল।”

পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মগড়ার যুবকের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসও করেন। এরইমধ্যে বৈদ্যবাটির মেয়েটির সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের আগের রাতেই মগড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। এরপরই সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয়।

এদিন সকালে খবর জানার পর বিয়ের সমস্ত আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে ততক্ষণে বিয়ে বাড়িতে দুপুরের পাত পড়ার সময় হয়ে গিয়েছে। বিকালের রান্নার ব্যবস্থাও প্রায় শেষ।

রাঁধুনির কথায়, “রান্না করছিলাম। হঠাৎ এসে বলল সব বন্ধ করে দাও। আমাদের জামাই অ্যারেস্ট হয়ে গিয়েছে। মাছ, মাংস, চিংড়ি যা যা রাখা ছিল সবই নষ্ট। জিনিস নষ্ট ছেড়েই দিলাম, বাড়ির লোকগুলোর কথা ভাবুন!” ওই যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে বৈদ্যবাটির মেয়েটির পরিবার।

Next Article