চণ্ডীতলা: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের দোকান ঘর পুড়িয়ে খাক করে দেওয়ার অভিযোগ। গোটা দোকান ভষ্মীভূত। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলা নবাবপুর চক কৃষ্ণপুর এলাকায়। ওই এলাকায় থাকেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মুজিবর রহমান। রাস্তার ধারে তাঁর একটি অস্থায়ী দোকান ছিল। বাঁশের খুঁটি বেঁধে মুদিখানা সামগ্রী-সহ আরও অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি-বাট্টা করতেন তিনি। বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য না হলেও এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবেই পরিচিত তিনি। রবিবার রাতে কেউ বা কারা তাঁর দোকানে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। সরাসরি কারও নাম না নিলেও, ‘রাজনৈতিক হিংসার’ কারণেই তাঁর দোকান ঘরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শেখ মুজিবর রহমানের।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, রবিবার গভীর রাতে কেউ বা কারা ওই তৃণমূল নেতার দোকান ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। রাতে কেউ টের পাননি। আজ সকালেই বিষয়টি নজরে আসে। দোকান-ঘরের আর কোনও অস্তিত্বই নেই সেখানে। শুধুই ছাই আর ছাই। একটি খাটিয়া আর কিছু বাঁশের খুঁটি জানান দিচ্ছে, ওখানে একটা দোকানঘর ছিল। আজ সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। তবে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি হয়ে রয়েছে।
শেখ মুজিবর রহমান বলছেন, “এটা অন্য কিছু নয়, রাজনৈতিক হিংসা। রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠতে না পেরে, এসব করছে। কিন্তু এখন যা শুরু করেছে, আমার বাড়ি-ঘর জ্বালাতে শুরু করে দিয়েছে। এটা হিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়েছে। পেট্রোলও পাওয়া গিয়েছে। আমি এটা সম্পূর্ণই রাজনীতির শিকার।”
তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সরাসরি কোনও দলের নাম না করলেও, ওই এলাকায় তৃণমূলের বিরোধী শক্তি হিসেবে আইএসএফ-এর পায়ের তলার মাটি বেশ পোক্ত। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এই এলাকায় জিতেছে আইএসএফ। এলাকার আইএসএফ সদস্য ইয়াসিন মল্লিক অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের কোনও যোগ নেই। তাঁর বক্তব্য, “যদি আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমরা এখানে সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকি। কারও কোনও ক্ষতি কোনওদিন করিনি। তবে যদি কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, প্রশাসন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক।”