Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরের ভিড়কে ভয় পাচ্ছেন? ঘুরে আসুন ভোলে বাবার পীঠস্থানে, জগদ্ধাত্রী পুজোর সেই আমেজই পাবেন

Sanath Majhi | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 20, 2023 | 5:06 PM

Jagadhatri Puja 2023: তারকেশ্বরের তালপুর গ্রাম যেন মিনি চন্দন নগর। পাড়ায় পাড়ায় পূজিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী। গত বছর এই গ্রামে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ছিল বারোটি এবছর তৈরি হয়েছে ১৩ টি মণ্ডপ। তেমনিই বাহারি আলোর মেলা। 

Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরের ভিড়কে ভয় পাচ্ছেন? ঘুরে আসুন ভোলে বাবার পীঠস্থানে, জগদ্ধাত্রী পুজোর সেই আমেজই পাবেন
মিনি চন্দননগর তারকেশ্বর
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হুগলি: উৎসবের মরশুম চলছেই। এখন জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে চন্দননগরে ঠাসা ভিড়। অনেকেই ভাবেন চন্দননগরে ঠাকুর দেখতে যাবেন, কিন্তু ভিড়ের ভয়ে আর সাহস করে উঠতে পারেন না। চন্দননগর যেতে না পারলে, একবার ঘুরেই আসুন না ‘মিনি চন্দননগর’। অবাক হচ্ছেন? সেটা আবার কোথায়? চন্দননগরের অদূরেই তারকেশ্বর। বলে বলে এবার চন্দননগরের পুজোকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত তারকেশ্বর।

তারকেশ্বরের তালপুর গ্রাম যেন মিনি চন্দন নগর। পাড়ায় পাড়ায় পূজিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী। গত বছর এই গ্রামে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ছিল বারোটি এবছর তৈরি হয়েছে ১৩ টি মণ্ডপ। তেমনিই বাহারি আলোর মেলা।

এই গ্রামের বাসিন্দারা এখন আর দুর্গাপুজোর জন্য নয়, জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন। একই গ্রামে ধুমধাম করে এবছর প্রায় তেরটি পুজো মণ্ডপে জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজন করেছেন এই এলাকার মানুষ জন। প্রতিটি পুজো মণ্ডপেই থিমের বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। কোনও পূজা মণ্ডপকে রূপ দেওয়া হয়েছে পল্লিগ্রামের আদলে, কোনও পূজা মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাউল শিল্পীদের জীবন যাত্রা। আবার কোনও পুজো মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে দেশের নানান ইতিহাস।

বিগত কয়েক বছর ধরেই তালপুর গ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা ছড়িয়ে পড়েছে জেলার আনাচে কানাচে। শুধু হুগলিই নয়, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও পুজো করতে ভিড় জমান বহু মানুষ। মূলত হুগলি জেলায় চন্দননগরের পর মানকুণ্ডু ,রিষড়া এবং সিঙ্গুরের পরই তারকেশ্বরের তালপুর গ্রামের নাম পরিচিতি পেয়েছে জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজনে। এই গ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে প্রত্যেক পরিবারেই উৎসবের চেহারা নেয়। সপ্তমীর দিন থেকেই জগদ্ধাত্রী বন্দনায় মেতে ওঠেন তালপুর গ্রামের মানুষ।

পুজো উদ্যোক্তারাই বলছেন, “এখানকার মানুষ এখন জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন। আমরা চেষ্টা করছি, দিনে দিনে এই পুজো এখনও বাংলার মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।”

Next Article