হুগলি: জলদি বাড়ি ফিরতে লোকালের বদলে অফিসের ফিরতি সময়ে ভরসা দূরপাল্লার ট্রেন। টিকিট না কেটেই সংরক্ষিত কামরায় উঠে চলে নিত্য যাতায়াত। আবার অলিখিতভাবে সেই কামরার দখলও নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই সব নিত্যযাত্রীদের বিরুদ্ধে। বুকিং থাকা সিটেই জবরদখল চলে আরামের যাত্রা। শিয়ালদহ-হাওড়ায় এ ছবির সঙ্গে পরিচিত অনেকেই। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিত্য যাত্রীদের সাথে দূরপাল্লার যাত্রীদের বচসা লেগেই থাকে। এবার সেই ঘটনার সাক্ষী রইল হাওড়া যোগ নগরী ঋষিকেশ দুন এক্সপ্রেস। এমনকী দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হাতাহাতিতেও চলে যায় বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় চার নিত্যযাত্রীকে ধরেছে আরপিএফ।
প্রধানত শ্রীরামপুর, চন্দননগর ও ব্যান্ডেলের নিত্যযাত্রীরা দুন এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামড়ায় যাতায়াত করেন। সূত্রের খবর, শনিবার হাওড়া স্টেশন থেকে দুন এক্সপ্রেস ছাড়ার পরেই এস ১০ এর সংরক্ষিত কামরার বেশ কিছু নিত্যযাত্রী উঠে পড়েন। অভিযোগ, ওই ট্রেনেই প্রিমিয়াম তৎকাল টিকিট কেটে অযোধ্যা যাচ্ছিলেন সংঘমিত্রা গুহ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, জবরদখল করে তাঁদের প্রিমিয়াম তৎকাল টিকিটের সিটে বসে পড়েন ওই নিত্যযাত্রীরা। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি। নানা রকম অশালীন ইঙ্গিতও করতে থাকেন বলে অভিযোগ করছেন সংঘমিত্রা দেবী। জোরপূর্বক তাঁর গায়ে হাতও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মারধর করা হয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের গায়ে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। তখনই ট্রেনের চেন টেনে দেন তিনি।
ঘটনায় সংঘমিত্রা দেবী জানাচ্ছেন, “অযোধ্য়া যাওয়ার জন্য তৎকাল প্রিমিয়াম টিকিট কেটে সিটে বসেছিলাম। এরা আচমকা ট্রেনে উঠে বলে আমরা ডেইলি প্যাসেঞ্জার। রোজ যাই। সরে বসুন। বসেই সিটে পা তুলে দেয়। আমাদের জিনিসপত্র নামাতে বলে। আমরা বাধা দিলে অভব্য আচরণ শুরু করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মারধর করে। ট্রেনে তখন কোনও আরপিএফ ছিল না। আমাকে বিচ্ছিরিভাবে টাচ করেছে। বলে চন্দনগর দিয়ে যখন ট্রেনটা যাবে তখন লোকাল লোককে দিয়ে নামিয়ে আপনাদের ছাল ছাড়াব। দিয়ে লাইনে ফেলে দেব। এরপরই আমি বাধ্য হই চেন টানতে।” ঘটনায় যে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে তাঁরা হুগলির জিরাটের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। ট্রেনটি শনিবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে হাওড়া ছাড়ে বলে জানা যাচ্ছে। চন্দননগরে ঢোকে ৯টা ২৩ মিনিটে। ব্যান্ডেলে ঢোকে ৯টা ৩৩ মিনিটে। সেখানেই অভিযুক্তদের ধরে আরপিএফ।