হুগলি: আরামবাগ মহকুমা পুলিশের বড় সড় সাফল্য। ৪ মহিলা সহ ১৪ জনকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের কাছ প্রচুর সোনা, রূপা, আগ্নেয়াস্ত্র, মোবাইল ফোন, ডাকাতি করার বেশ কিছু উন্নত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সুপার আমনদীপ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি জানান।
এই দুষ্কৃতী দলের কাছে নগদ এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা, চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৬ রাউন্ড গুলি ৬০০ গ্রাম সোনা, ১ কেজি ৫০০ গ্রামের মত রূপার গহনা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ডাকাতি করার জন্য যে সমস্ত সরঞ্জাম লাগে সেই যাবতীয় সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।
১৬টি মোবাইল ফোনও পাওয়া গেছে ধৃতদের কাছ থেকে। ধৃতদের মধ্যে ১০ জনকে ১০ দিনের পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।
পুলিশ সুপার জানান, ধৃতরা প্রত্যেক বছরই শীতের মরসুমে আসে। ডিসেম্বরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায় গ্যাঙের সদস্যরা। বিশেষত মফঃস্বল এলাকাগুলিতেই তারা বেশিরভাগ অপারেশন চালায়। ধৃতরা প্রত্যেকেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বিগত কয়েক দিনের মধ্যে আরামবাগ, খানাকুল ও গোঘাট এলাকায় একাধিক বাড়িতে লুঠ চালিয়েছিল তারা। লুঠ হওয়া সমস্ত জিনিস, গয়না, টাকা পয়সা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কীভাবে গ্রেফতার?
বেশ কিছুদিন ধরেই আরামবাগ, খানাকুল ও গোঘাট এলাকায় একাধিক লুঠ, ডাকাতির অভিযোগ আসছিল। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত ছিল, যে দলটি এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তারা কেউই এলাকার নয়। এরপর আঁটঘাট নেমে ময়দানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকার সিভিক ভলেন্টিয়ার ও গ্রামীণ পুলিশকে কাজে লাগানো হয়। পাড়ার ওলিগলি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। জানা যায়, খানাকুল এলাকাতেই একটি দল বেশ কয়েক মাস ধরে ভাড়া রয়েছে। তারা মূলত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। দিনে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করার নামে এলাকায় রেইকি চালাত তারা। আর রাতে হত অপারেশন।
দিনের হকার সেজে বিভিন্ন জিনিস ফেরি করে বেরাত। গ্রামের ওলিগলি ঘুরে সব তথ্য সংগ্রহ করে নিত তারা। কার কী ব্যবসা,কেমন আয় হতে পারে, সব জেনে হত লুঠের সিদ্ধান্ত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, ধৃতদের মধ্যে এক-দু’জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিও রয়েছে। রয়েছে মহিলাও।
আরও পড়ুন: Nadia Acid Attack: স্ত্রীর বিয়ে হয়েছে আগেও একাধিকবার, প্রমাণ পেতেই অ্যাসিড হামলার শিকার
আরও পড়ুন: ১৬ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ৫৫ বছরের পাত্র! নিমরাজি হওয়ায় ‘গলা ফুঁড়ে দেওয়া হল’ নাবালিকার