Arambag Soil Smuggling: ‘সরকারি আধিকারিকদের এদিক-ওদিক টাকা দিয়েই চলছে…’, ট্রাক্টর ট্রাক্টর মাটি জমছে হিমঘরে

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 30, 2022 | 4:52 PM

Arambag Soil Smuggling: এই খবরের তথ্য তালাসে নেমেছে TV9বাংলা। পুকুরের ওই মালিকের নাম হিসাবে উঠে আসছে লালু সাঁতরার নাম। তিনি যা দাবি করছেন, তা অত্যন্ত বিস্ফোরক।

Arambag Soil Smuggling: সরকারি আধিকারিকদের এদিক-ওদিক টাকা দিয়েই চলছে..., ট্রাক্টর ট্রাক্টর মাটি জমছে হিমঘরে
আরামবাগে মাটি পাচারের অভিযোগ

Follow Us

আরামবাগ: দিনে দুপুরে পুকুর থেকে চলছে অবৈধভাবে মাটি কাটা। হাজার হাজার ট্র্যাক্টর বোঝাই করে তা পাচারও হয়ে যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল গোঘাটের ব্যাঙ্গাই এলাকায়। কিন্তু এত মাটি যাচ্ছে কোথায়? জানা যাচ্ছে, এই মাটি চলে যাচ্ছে এক হিমঘরে। রয়্যালটি ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের না জানিয়ে দিব্যি চলছে মাটি কাটা। কীভাবে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা এই বিষয়ে এখনও মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

এই খবরের তথ্য তালাশে নেমেছে TV9বাংলা। পুকুরের ওই মালিকের নাম হিসাবে উঠে আসছে লালু সাঁতরার নাম। তিনি যা দাবি করছেন, তা অত্যন্ত বিস্ফোরক। TV9 বাংলার প্রতিনিধির ক্যামেরা তখন গোপনে রাখা ছিল। পুকুরের মালিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রয়্যালটি ফাঁকি দিয়ে কীভাবে চলছে মাটি বিক্রি? উত্তরে পুকুর মালিক বলে ফেলেছিলেন, “টাকা দিয়ে এদিক-ওদিক কিছু আধিকারিকের কাছে মৌখিক অনুমতি নিয়েই মাটি কাটার কাজ চলছে।” ক্যামেরা প্রকাশ্যে আসতেই তিনি মুখে কুলুপ আঁটলেন। শুধু তাই নয়, মালিকানাসত্ত্বও অস্বীকার করতে থাকেন। নামটাই পাল্টে দেন তিনি। আর মাটি কাটা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

তবে কীভাবে হিমঘর কর্তৃপক্ষ বেআইনি ভাবে হাজার হাজার ট্রাক্টর মাটি কিনে নিচ্ছেন? সেটাও বিচার্য বিষয়। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি উঠছে এলাকায়। এই বিষয়ে হিমঘর মালিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাঁকে ফোন করেও তিনি ফোন ধরেন নি। পাশাপাশি গোঘাট ২ নম্বর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক সুশান্ত করও কোনও কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

গোঘাট ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী অনিমা কাটারি বলেন, “কোনওভাবেই পুকুর থেকে মাটি কেটে অন্যত্র নিয়ে যেতে পারে না। যদি কাটা হয় তা পুরোপুরি অবৈধভাবে ও বেআইনি ভাবে কাটা হচ্ছে । আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।”

গোঘাট ২ নং বিজেপির  ৪৪ নম্বর জেডপি সভাপতি দোলন দাস বলেন, “সর্বত্র মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে তাও শাসক দলের নেতাদের মদতেই চলছে। টাকা নিয়েই মদত দিচ্ছে প্রশাসনের আধিকারিকরাও। সর্বক্ষেত্রেই তৃণমূল নেতারা যুক্ত আছে। স্বচ্ছ তদন্ত কোনওদিন হবে না। যদি হয় তাহলে দোষীরা ধরা পড়বে।”

Next Article