হুগলি: চলতি বর্ষায় বন্যায় ভেসেছে হুগলির আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল বর্ষণে জলের তোড়ে দ্বারকেশ্বর, দামোদর, রূপনারায়ণ, মুণ্ডেশ্বরী নদী-বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাঁধ সংস্কারের জন্য স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ডের প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ হয়। এরপরই বাঁধ সংস্কার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে জেলা সেচ দফতরের বিরুদ্ধে। টেন্ডার নিয়ে সেই দুর্নীতির ছবি ভাইরালও হয়। TV9 বাংলার অন্তর্তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, তাঁরা ১০ ডিসেম্বর টেন্ডার জমা দিতে গিয়েছিলেন। টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ড্রপ বক্স সিল করে দেননি দফতরের কর্মীরা। দেখা যায়, পছন্দের এক ঠিকাদারের টেন্ডার নিজের হাতে ড্রপ বক্সে ফেলছেন সেচ দফতরের এক কর্মী। সেই ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তুলে রাখেন ঠিকাদাররা। স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ডের প্রায় ২০০ কোটিরও বেশী টাকার টেন্ডার। ওই টাকায় আরামবাগ মহকুমায় দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ, দামোদর নদী বাঁধের সংস্কার হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদারদের অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনও আধিকারিক কোনও মন্তব্য করেননি।
তাহলে, গোলমাল টা ঠিক কোথায়? বাঁধ মেরামতির টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। টেন্ডার জমা দেওয়ার সময়সীমা ১০ ডিসেম্বর দুপুর ২। সকালে বিভিন্ন জেলা থেকে টেন্ডার জমা দিতে হাজির হন ঠিকাদাররা। তাঁদের অভিযোগ, প্রত্যেকের টেন্ডার ড্রপ বক্স ফেলতে দেওয়া হয়নি। নিয়ম মেনে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলাকালীন পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন না। দুপুর ২ পরও সিল করা হয়নি টেন্ডার জমা দেওয়ার বাক্স। অভিযোগ, বেলা ২টোর পর পছন্দের ঠিকাদারের টেন্ডার নিজের হাতে ড্রপ বক্সে ফেলেন সেচ দফতরেরই এক কর্মী। সেই ছবি মোবাইল ফোনে তোলেন ঠিকাদাররা। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিয়ো।
ঠিকাদাররা হইচই শুরু করায় বেলা আড়াইটের পর ড্রপ বক্স সিল করা হয়। ঘটনায় সেচ দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষের মদতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সেচ দফতরের কোনও আধিকারিক। এক ঠিকাদার বলেন, “আমরা সেচ দফতরকে বারবার বলেছিলাম। সেচ দফতর আমাদের কথায় কান দেয়নি। ওদের নিজেদেরই লোক ড্রপ বক্সে টেন্ডার ফেলছেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন সেচের কাজ কেমন হবে? এর খেসারত গ্রামবাসীদের দিতে হচ্ছে। আরামবাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৬৫ কোটি টাকা। সেখানে বাঁধের কাজে সব থেকে নিম্নমানের দ্রব্য দিয়ে কাজ করছে। টেন্ডার কতটা কী হয়েছে, তা হোর্ডিং টাঙিয়ে কাজ করুক। তা করছেন না।”
এক গ্রামবাসীর কথায়, “সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। সেচ দফতরের লোক নিজেদের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দিচ্ছে। কাটমানি খাচ্ছে তারা। কাজ হচ্ছে নিম্নমানের। রাজ্য সরকার যে পরিমাণ টাকা দিচ্ছে, তাতে অনেক উন্নত মানের কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে কই!” অন্যদিকে, এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি স্পষ্টই বলেছেন, “এমন কোনও ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে থাকে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে যদি তাঁরা কোনও পদাধিকারী হন, তাহলে পদ থেকেও বরখাস্ত করা হতে পারে।”
দেখুন ভিডিয়ো:
হুগলি: চলতি বর্ষায় বন্যায় ভেসেছে হুগলির আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল বর্ষণে জলের তোড়ে দ্বারকেশ্বর, দামোদর, রূপনারায়ণ, মুণ্ডেশ্বরী নদী-বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাঁধ সংস্কারের জন্য স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ডের প্রায় ২০০ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ হয়। এরপরই বাঁধ সংস্কার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে জেলা সেচ দফতরের বিরুদ্ধে। টেন্ডার নিয়ে সেই দুর্নীতির ছবি ভাইরালও হয়। TV9 বাংলার অন্তর্তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, তাঁরা ১০ ডিসেম্বর টেন্ডার জমা দিতে গিয়েছিলেন। টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ড্রপ বক্স সিল করে দেননি দফতরের কর্মীরা। দেখা যায়, পছন্দের এক ঠিকাদারের টেন্ডার নিজের হাতে ড্রপ বক্সে ফেলছেন সেচ দফতরের এক কর্মী। সেই ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তুলে রাখেন ঠিকাদাররা। স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ডের প্রায় ২০০ কোটিরও বেশী টাকার টেন্ডার। ওই টাকায় আরামবাগ মহকুমায় দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ, দামোদর নদী বাঁধের সংস্কার হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদারদের অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনও আধিকারিক কোনও মন্তব্য করেননি।
তাহলে, গোলমাল টা ঠিক কোথায়? বাঁধ মেরামতির টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। টেন্ডার জমা দেওয়ার সময়সীমা ১০ ডিসেম্বর দুপুর ২। সকালে বিভিন্ন জেলা থেকে টেন্ডার জমা দিতে হাজির হন ঠিকাদাররা। তাঁদের অভিযোগ, প্রত্যেকের টেন্ডার ড্রপ বক্স ফেলতে দেওয়া হয়নি। নিয়ম মেনে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলাকালীন পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন না। দুপুর ২ পরও সিল করা হয়নি টেন্ডার জমা দেওয়ার বাক্স। অভিযোগ, বেলা ২টোর পর পছন্দের ঠিকাদারের টেন্ডার নিজের হাতে ড্রপ বক্সে ফেলেন সেচ দফতরেরই এক কর্মী। সেই ছবি মোবাইল ফোনে তোলেন ঠিকাদাররা। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিয়ো।
ঠিকাদাররা হইচই শুরু করায় বেলা আড়াইটের পর ড্রপ বক্স সিল করা হয়। ঘটনায় সেচ দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষের মদতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সেচ দফতরের কোনও আধিকারিক। এক ঠিকাদার বলেন, “আমরা সেচ দফতরকে বারবার বলেছিলাম। সেচ দফতর আমাদের কথায় কান দেয়নি। ওদের নিজেদেরই লোক ড্রপ বক্সে টেন্ডার ফেলছেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন সেচের কাজ কেমন হবে? এর খেসারত গ্রামবাসীদের দিতে হচ্ছে। আরামবাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৬৫ কোটি টাকা। সেখানে বাঁধের কাজে সব থেকে নিম্নমানের দ্রব্য দিয়ে কাজ করছে। টেন্ডার কতটা কী হয়েছে, তা হোর্ডিং টাঙিয়ে কাজ করুক। তা করছেন না।”
এক গ্রামবাসীর কথায়, “সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। সেচ দফতরের লোক নিজেদের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দিচ্ছে। কাটমানি খাচ্ছে তারা। কাজ হচ্ছে নিম্নমানের। রাজ্য সরকার যে পরিমাণ টাকা দিচ্ছে, তাতে অনেক উন্নত মানের কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে কই!” অন্যদিকে, এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি স্পষ্টই বলেছেন, “এমন কোনও ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে থাকে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে যদি তাঁরা কোনও পদাধিকারী হন, তাহলে পদ থেকেও বরখাস্ত করা হতে পারে।”
দেখুন ভিডিয়ো: