Arambag: রাত বাড়লেই বসছে মদের আসর, গোটা গ্রামের মহিলারা একজোট হয়ে নিলেন বড় পদক্ষেপ

Arambag: রাজ্যজুড়ে যেখানে নারী নিরাপত্তার দাবিতে মহিলারা রাত দখল করছে। ভোর দখল করে দেবী পক্ষের সূচনা করা হয়েছে। সেখানে গ্রামেরই নিরাপত্তার অভাব বোধ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন গোঘাটের শুনিয়া গ্রামের মহিলারা।

Arambag: রাত বাড়লেই বসছে মদের আসর, গোটা গ্রামের মহিলারা একজোট হয়ে নিলেন বড় পদক্ষেপ
মহিলারা নিলেন বড় পদক্ষেপImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2024 | 11:44 PM

আরামবাগ: নিরাপদ নন মহিলারা। অভিযোগ উঠছে, রাত নামলেই গোটা গ্রামে বসে যাচ্ছে বেআইনি মদের ঠেক। বাড়ছে বহিরাগতদের আনাগোনা। যার কারণে নিরাপত্তার অভাবে রাতের অন্ধকারে থানার দ্বারস্থ গ্রামের মহিলারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতাও স্বীকার করছেন মদ্যপদের অত্যাচারের কথা। প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের ইন্ধন আর পুলিশের মদত ছাড়া কি এতদিন ধরে চলতে পারে মদের কারবার? নারী নিরাপত্তা জোরদার করতে যখন হুগলি জেলা পুলিশের পক্ষ ইউনার্স টিম করে বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন নিরাপত্তার অভাবে থানার দ্বারস্থ কেন হতে হচ্ছে সেই মহিলাদেরই?

রাজ্যজুড়ে যেখানে নারী নিরাপত্তার দাবিতে মহিলারা রাত দখল করছে। ভোর দখল করে দেবী পক্ষের সূচনা করা হয়েছে। সেখানে গ্রামেরই নিরাপত্তার অভাব বোধ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন গোঘাটের শুনিয়া গ্রামের মহিলারা। এনিয়ে গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগও জমা দেন তাঁরা। আর এই শুনিয়া গ্রামেই বাসিন্দা তথা গোঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা নারায়ণ চন্দ্র পাঁজা। তিনিও মহিলাদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করার ঘটনা মেনে নিয়েছেন। মহিলাদের দাবি, গ্রামেই চোলাই তৈরি হয়, অন্য জায়গা থেকে নিয়ে এসেও গ্রামে বিক্রি হয়। ফলত চোলাই কিনতে বাইরের লোকজনের রাতে আনাগোনা বাড়ছে। বাড়ির পুরুষদের সঙ্গে গ্রামের শিশুরাও মদে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। নিত্যদিন গ্রামের মধ্যে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। বারবার প্রশাসনে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই গ্রামের মহিলারা দ্বারস্থ হয়েছেন গোঘাট থানার।

এখানেই উঠছে যাবতীয় প্রশ্ন। পুলিশ ও আবগারি দফতরের নজরদারি এড়িয়ে এতদিন ধরে গ্রামের মধ্যে কীভাবে চলছে মদের কারবার? পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি এতদিন ধরে সব জানার পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ করেননি? কেন মহিলাদের রাতের অন্ধকারে নিরাপত্তার দাবিতে থানায় আসতে হবে ? প্রতিবাদী এক মহিলা বলেন, “আমাদের পাড়ায় প্রচুর পরিমাণে মদ বিক্রি হচ্ছে। আমরা মহিলারা ভয়ে রাস্তায় বেরতে পারি না। এখন যা দিনকাল যদি কোনও মেয়ের কিছু হয় এর দায় কে নেবে? থানা থেকে বলছে তোমরা হাতে নাতে ধরো। তারপর খবর দাও।” প্রশ্ন উঠছে পুলিশের কাজও কি সাধারণ মানুষ করবে? গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র পাঁজা বলেন, “অন্য গ্রাম থেকে এসে মদ বিক্রি করছে। মহিলারা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বারবার প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে। আমরাও অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি।”