Manoranjan Bapari: তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে সাহিত্যিক-বিধায়ক মনোরঞ্জনের মুখে ‘নোংরা কথা’, বললেন, ‘খিস্তি দিয়ে ভুল করেছি’
Manoranjan Bapari: এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে রুনা সম্পর্কে অশালীন বিশেষণ ব্যবহার করে তিনি লেখেন, 'তোর হুমকিতে যে ভয় পায় পাক, আমি পাইনি। তোর চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করলাম।' এরপরই সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন রুনা খাতুন তিনি জানান, থানায় যাবেন তিনি। কীভাবে একজন মহিলাকে এমন আক্রমণ, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
দলের নেত্রীর সঙ্গে বিধায়কের কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে বুধবার থেকেই। ফেসবুক থেকে সংবাদমাধ্যম-সর্বত্র তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। অভিযোগ তুলেছেন, রুনা দুর্নীতিগ্রস্ত। সেই রুনা তাঁকে হুমকি দিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বিধায়ক। এরই মধ্যে সেই তরজা নয়া মোড় নেয় বৃহস্পতিবার সকালে। দেখা যায়, বিধায়কের বলাগড়ের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন কেউ বা কারা। আবার বিধায়কের তোপের মুখে পড়েন সেই রুনা।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে রুনা সম্পর্কে অশালীন বিশেষণ ব্যবহার করে তিনি লেখেন, ‘তোর হুমকিতে যে ভয় পায় পাক, আমি পাইনি। তোর চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করলাম।’ এরপরই সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন রুনা খাতুন তিনি জানান, থানায় যাবেন তিনি। বলেন, “একজন নারীর সন্তান হয়ে কীভাবে একজন নারী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারেন? আমি আইনের দ্বারস্থ হচ্ছি।”
এরপরই আরও একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন মনোরঞ্জন। তিনি লিখেছেন, “আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল, তাই খিস্তি দিয়ে ফেলি ফেসবুকে। রাত ১০টা নাগাদ সেই পোস্ট লেখার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে বুঝতে পারি -একটা মস্ত বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেটা মুছে দিই।” সব শেষে তিনি আরও লিখেছেন, “আমার পাঠক প্রিয়জন এবং সমস্ত পরিচিত-অপরিচিতদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি বিশেষ করে মার্জনা চাই মা- বোন-দিদিদের কাছে । সতর্ক থাকব। বিরত থাকব ভবিষ্যতে এমন শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে।”