উত্তরপাড়া: একদম দিনের বেলায়, প্রকাশ্যেই গঙ্গা থেকে পলি-বালি তোলার অভিযোগ। উত্তরপাড়া বালিখালে চলছে এই কারবার। বালি চলে যাচ্ছে উত্তরপাড়ার মাখলার বিভিন্ন ইটভাটায়। গঙ্গা থেকে বালি তোলা বেআইনি। অথচ দিনের পর দিন ঘটে চলেছে আইন বিরোধী কার্যকলাপ। নির্বিকার প্রশাসন। যাঁরা বালি তুলছেন, তাঁরাই জানাচ্ছেন রাত্রিবেলা পুলিশ এসে বিষয়টি দেখে তবুও কিছু বলে না। মাঝে মধ্যে ধরপাকড় চলে। এ দিকে, গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, শাসক দলের মদতেই এই ঘটনা ঘটছে।
প্রসঙ্গত, এই গঙ্গার উপরেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে বালি ব্রিজ। হাওড়ার একটি অংশের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। নিত্যদিন এই ব্রিজ থেকে হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, রয়েছে রেল লাইনও। যদি গঙ্গার উপর থেকে নির্বিচারে এভাবে বালি তোলা হয় তাহলে ব্রিজ যে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলা বাহুল্য। এক কথায় যোগাযোগ ব্যবস্থা যে কার্যত ভেঙে পড়বে হাওড়া-কলকাতার।
কিন্তু এত সবের পরও হুঁশ নেই। বালি যাঁরা তুলেছেন তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এইভাবেই বালি তোলা হচ্ছে। তবে সেই কারণে মাঝে মধ্যে পুলিশ আসে। তবে তাঁদের দাবি, বালি তোলার ছাড়পত্র যেন দেয় প্রশাসন। প্রয়োজনে তাঁরা স্বত্ব দিতেও প্রস্তুত। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, “পুলিশ আসে, দেখে, কিছু বলেনি। ওরা বাধা দেয়নি।”
বিজেপি মুখপাত্র প্রণব রায় বিষয়টি ইমেল করেছেন ন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে। তিনি বলেছেন, “দোলতলা এবং তার আশেপাশে গঙ্গা কয়েকশো মিটারের মধ্যে চলে এসেছে। এরপরও শাসকদলের মদতে চলছে অবৈধ পাচার। অবিলম্বে এই বালি চুরি বন্ধ হওয়া উচিত। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” বিষয়টি ইতিমধ্যেই শ্রীরামপুর মহকুমা শাসককে জানিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে আবেদন করেছেন উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব। তবে হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, “বিজেপি অভিযোগ ছাড়া কিছু করতে পারে না। গঙ্গা থেকে বালি তোলা হচ্ছে। গঙ্গা পোর্ট ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে। পোর্ট ট্রাস্টের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পুলিশ প্রশাসন আছে,ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলকে দোষারোপ না করে নিজেরা দেখুক। আমার মনে হয় বিজেপির লোকেরা এই সব করছে,তাই পোর্ট ট্রাস্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”