হুগলি: মায়ের সঙ্গে নবমীর দিন ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। তখনই ঘটে অঘটন। হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় যুবতী। সেই ঘটনার পনেরো দিন পর উদ্ধার হল দেহ।
শ্রীরামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ওয়ালস্ হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। যদিও, রহস্য মৃত্যু বলে দাবি করেছে পরিবার।
মৃতের নাম নীতু কুমারী (২৮)। তিনি ভদ্রেশ্বর থানার চাঁপদানি ২৭ এসএম রোডের বাসিন্দা। ২৩ অক্টোবর নবমীর রাত্রিবেলা নীতু ও তাঁর মা ঠাকুর দেখতে বের হন। দু’দিন পর ভদ্রেশ্বর থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে পরিবার। এরপর আজ শ্রীরামপুর টেক্টটাইল কলেজের পিছনের ঝোপ থেকে তাঁর দেহ মেলে। প্রথমে এলাকাবাসী মৃতদেহটি দেখতে পান। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। যুবতীর পার্সে আধার কার্ডের জেরক্স ছিল। তা দেখেই পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।আজ মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবার।
এ দিকে, এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে প্রচুর। মায়ের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কীভাবে নিখোঁজ হলেন যুবতী। দেহ শ্রীরামপুরেই বা এল কী করে? এই সকল প্রশ্নের খোঁজ করছে এখন পুলিশ। যুবতীর দাদা কৃষ্ণা রায় বলেন, “নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশকে আমরা জানাই। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন শ্রীরামপুরে দেখিয়েছিল। তারপর অনেকদিন আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ থানা থেকে ফোন করে আমাদের ডেকে বলে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। দেহের ময়নাতদন্ত এখনও হয়নি। আগামিকাল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হবে ময়নাতদন্ত। আমরা চাই ঘটনা সত্যিটা কী তা বেরিয়ে আসুক।”