চুঁচুড়া: বাড়ির ছেলে নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ভেবেছিলেন মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। পুত্রের খোঁজ না পেয়ে শোকে মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। নিখোঁজ হওয়া সেই যুবককেই খুঁজে পেল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আরোগ্য’। শুধু তাই নয়, তাঁকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতেও তুলে দেওয়া হয়। যুবকের নাম মহম্মদ ইশাক(৩২)।
ইশাকের বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙা জেলার বহেরা থানার বেণীপুরে। এক বছর আগে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় তিনি। পুত্র শোকে মৃত্যু হয় মায়ের। ছেলে মারা গিয়েছে ধরে নিয়েছিল পরিবার। তবে আচমকাই এল খবর। হুগলির চুঁচুড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইশাক।
সূত্রের খবর, হুগলি গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বর্ণালী পাল ভট্টাচার্য। তিনি খাদিনা মোড়ের একটি মিষ্টির দোকানের সামনে এক যুবককে তিন-চারদিন ধরে বসে থাকতে দেখেন। সন্দেহর বশে খবর দেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। ইশাকের সঙ্গে কথা বলে বিহারে দ্বারভাঙার বেণীপুরের কথা জানতে পারে আরোগ্যর সদস্যরা। যোগাযোগ করা হয় দ্বারভাঙার বহেরা থানায়। থানা জানায় এক বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিল ইশাক। পুলিশ তাঁর পরিবারকে ডেকে কথা বলায় ওই সংস্থার সঙ্গে।
সোমবার বিহার থেকে বাবা মজলুম,ভাইপো মহম্মদ ফারুক এসে ফিরিয়ে নিয়ে যান ইশাককে। ইশাকের বাবা বলেন, “ছেলের শোকে ওর মা খইরুল খাতুন মাস চারেক আগে মারা যান। আমরা হন্যে হয়ে খুঁজেছি পাইনি। দু’দিন আগে থানা থেকে খবর পাই।
ওর কাকা মুম্বইয়ে দিন মজুরির কাজ করত। কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তারপর হঠাৎই মানসিক সমস্যা শুরু হয়। তারপর বাড়িতেই থাকত। একদিন নিখোঁজ হয়ে যায়।”
চুঁচুড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন,”হুগলি গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে খবর পেয়ে বিহারে যোগাযোগ করি। যুবকের পরিবার এসে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল। এটা খুব ভাল লাগছে।”