JP Nadda: বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম ভবনকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে নাড্ডার কাছে আবেদন বিজেপির

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 08, 2022 | 5:31 PM

Hooghly: চুঁচুড়া জোড়াঘাটের বন্দেমাতরম ভবন। বাড়িটি তৎকালীন কাশিম মল্লিক নামে এক ব্যক্তি সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রকে ভাড়া দিয়েছিলেন।

JP Nadda: বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম ভবনকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে নাড্ডার কাছে আবেদন বিজেপির
বন্দেমাতরম ভবন (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

চুঁচুড়া: মঙ্গলবার কলকাতায় পা রেখেছিলেন সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব বিজেপি নাড্ডাকে স্বাগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দের উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য বিজেপি কর্মী সমর্থকও। একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বুধবার সকালেই হুগলির চুঁচুড়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাঁর হাতে একাধিক বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেন রাজ্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, জেলার ঐতিহাসিক পীঠস্থান বন্দেমাতরম ভবনকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যও আবেদন করেন তাঁরা।

বন্দেমাতরম ভবনের ইতিহাস

চুঁচুড়া জোড়াঘাটের বন্দেমাতরম ভবন। বাড়িটি তৎকালীন কাশিম মল্লিক নামে এক ব্যক্তি সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রকে ভাড়া দিয়েছিলেন। এরপর ১৮৭৭ সালে হুগলির ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সপরিবারে এই ভবনে আসেন। এখান থেকেই রচনা করেন কৃষ্ণকান্তের উইল, আনন্দমঠ, কপালকুন্ডলা সহ বহু রচনা। এই ভবন থেকেই ক্ষেত্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সুরে বঙ্কিমচন্দ্রের পূর্ণ অনুমোদন বন্দেমাতরম সংগীতের। হাওড়ায় ১৮৯৪ সালের ৮ই এপ্রিল পরলোক গমন করেন সাহিত্য সম্রাট।

বর্তমানে এই ভবনের দেখভাল করে চুঁচুড়া পুরসভা। চুঁচুড়াবাসী বলছেন, পুরসভা ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। তবে আরও সংস্কারের প্রয়োজন। শহরবাসীর দাবি, যদি আগামী দিনে কোনও সরকার এই ভবনটিকে জাতীয় স্বীকৃতি দেয়। তাহলে আরও বেশি করে সম্মান দেওয়া হবে বন্দেমাতরমের শ্রষ্ঠাকে।

জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের দাবি, পুরসভাকে বারবার বলা হলেও তারা সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে না। তাই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বলেন, ‘আমরা জেপি নাড্ডাজী-কে জানিয়েছি, যাতে এই ভবনটিকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।’ এর পাশাপাশি তিনি জানান, ‘আমরা এখানে একটি মিউজিয়াম তৈরির করার কথা বলেছি। নাড্ডা সাহেব জানিয়েছেন এখানে কালচারাল মিনিস্ট্রিকে এখানে পাঠাবেন। তাঁরা দেখবেন যে কোথায় করা সম্ভব।’

বস্তুত, আগামী ১০ই জুন হুগলির কামারকুণ্ডুতে বিকেল ৪টে সভা রয়েছে বিজেপির। সেখানে থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এটা মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা সভা বলেই দাবি করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই সেই সভার প্রস্তুতি বৈঠক সেরে ফেলেছে বিজেপি। মঙ্গলবার জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বৈঠক করে। কামারকুণ্ডু ব্রিজের নীচে হুগলি প্রশাসনিক জেলার তিন বিজেপি সভাপতি ও স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেন বিধায়ক বিমান ঘোষ। রাস্তা পরিদর্শনও করেন পুরশুড়ার বিধায়ক।

Next Article