Hooghly BJP: আম উপঢৌকনেই বিভ্রাট! নাড্ডার সফরের দিনই হুগলিতে প্রকাশ্যে ‘পদ্মের-বিভাজন’

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 09, 2022 | 1:00 PM

Hooghly BJP: চুঁচুড়া এবং চন্দননগরে অনেক বিজেপি কার্যকর্তা জে পি নাড্ডার অনুষ্ঠানে ঢুকতে না পেরে দীপাঞ্জন গুহকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি সূত্রে খবর, দীপাঞ্জন গুহ বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।

Hooghly BJP: আম উপঢৌকনেই বিভ্রাট! নাড্ডার সফরের দিনই হুগলিতে প্রকাশ্যে পদ্মের-বিভাজন
হুগলিতে জেপি নাড্ডার সভায় অন্তর্দ্বন্দ্ব

Follow Us

হুগলি: বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সফরেই হুগলিতে প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব । বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ জে পি নাড্ডার গাড়ির কনভয় এসে উপস্থিত হয় চুঁচুড়া জোড়াঘাটে। ঠিক তার আগে বন্দেমাতরম ভবনের সামনে দেখা যায় হুগলি বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় নেতৃত্ব দীপাঞ্জন গুহকে কিছু বলছেন। আঙুল তুলে রীতিমতো ধমকাচ্ছেন তিনি।

পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা স্বপন পাল,সুবির নাগ ও হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার। দীপাঞ্জন গুহ কিছু বলার চেষ্টা করছেন, ততই আঙুল তুলে তাঁকে শাসিয়ে যাচ্ছেন সাংসদ। এর মধ্যে জে পি নাড্ডা চলে আসায় সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মিনিট পনেরো থাকার পর চুঁচুড়া থেকে চন্দননগর চলে যান জেপি নাড্ডা। সেখানেও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা থেকে মারামারি বেঁধে যায়। শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে বিজেপির এক কর্মী আহত হয়।

চুঁচুড়া এবং চন্দননগরে অনেক বিজেপি কার্যকর্তা জে পি নাড্ডার অনুষ্ঠানে ঢুকতে না পেরে দীপাঞ্জন গুহকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপি সূত্রে খবর, দীপাঞ্জন গুহ বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর উপর দায়িত্ব ছিল জে পি নাড্ডার অনুষ্ঠানের। সেখানে কে কে থাকবেন তার তালিকা ঠিক করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে দেখা যায় সুবীর নাগ ও তাঁর অনুগামীরা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।
এদিকে, সুবীর নাগ হুগলি জেলা প্রাক্তন সভাপতি। বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না দেওয়ার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় বলে সূত্রের খবর। নির্বাচনে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে কোনও কর্মসূচিতে দেখাও যায়নি তাঁকে। তৃণমূলে যোগ দেবেন বলেও খবর রটেছে। তবে এখনও তিনি বিজেপিতে থাকলেও, কোনও পদে তাঁকে রাখে নি দল। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সুনজরেও নেই, তেমনটাই খবর অন্দরমহলের। এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর নামও ছিল না। অথচ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বন্দেমাতরম ভবনে সকাল থেকে হাজির হন সুবীর নাগ।

নাড্ডার সঙ্গেও তাঁকে দেখা যায়। নাড্ডাকে আম উপহার দেন সুবীর। তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিজেপির একাংশ নেতৃত্ব। গোটা অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ছিল দীপাঞ্জন গুহর। তিনি কেন এগুলো দেখেননি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেতৃত্ব। হুগলির সাংসদকে জনসমক্ষেই দীপাঞ্জন গুহকে কড়া হঁশিয়ারি দিতে দেখা যায়।

চুঁচুড়ায় যেটা কেবল কথা কাটাকাটিতেই সীমাবদ্ধ ছিল চন্দননগরে সেটাই বচসা থেকে মারামারিতে পরিণত হয়। যদিও এবিষয়ে বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। লকেট বা দীপাঞ্জন কেউ মুখ খোলেন নি। সুবীর নাগ বলেন,”আমি রাজ্য কমিটির সদস্য। রাজ্য থেকে আমাকে বলা হয়েছিল।পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি এসেছেন তাই গিয়েছিলাম। সেখানে সাংসদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে অনুষ্ঠানে থাকতে বলেন। জেলা সভাপতিও থাকতে বলেন।” তাঁর বক্তব্য, “আমি সেখানে গিয়েছি বলে কোনও গণ্ডগোল হয়েছে বলে আমার জানা নেই।”  সূত্রের খবর, কাটআউট কম লাগানো নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন সাংসদ। তবে তৃণমূল চন্দননগর শহর সভাপতি মুন্না আগরওয়াল বলেন, “বিজেপি নিজেদের মধ্যে কোন্দল করে। তারা কী করে দেশ চালাচ্ছে, সেটাই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি।”

Next Article