শ্রীরামপুর: প্রার্থী তালিকা নিয়ে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তৃণমূলকে (TMC Candidate List)। শাসকের অন্দরের আগুন নেমে এসেছে রাস্তায়। যেদিন থেকে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে সেদিন থেকে নানা ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে প্রত্যেক জেলা থেকে। কোথাও একই নামের দুই প্রার্থী, কোথাও এক-একটি ওয়ার্ডে দুজন টিকিট পেয়েছেন (TMC)। কখনও আবার অপছন্দের প্রার্থীর জন্য রাস্তায় টায়ার জ্বলছে। এই রকম নানা ভুরি-ভুরি উদাহরণ দেখেছ গত কয়েকদিন ধরে বাংলা। এবার এক নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে রিষড়া তৃণমূলে।
কী ঘটনা?
সূত্রের খবর, রিষড়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন পার্থসারথী গুপ্তা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি উত্তরপ্রদেশের গোরোক্ষপুরের ভোটার। এখানেই শেষ নয়, ওই প্রার্থীর নাকি দু’টি নাম, দু’টি ভোটার কার্ড। এবার স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এক প্রার্থীর দু’টি নাম, দু’টি ভোটার কার্ড হয় কীভাবে?
গোটা বিষয়টি দেখার পর মোটেই ছেড়ে দেয়নি বিজেপি। আঁটঘাট বেঁধে পথে নেমেছে তাঁরা। শ্রীরামপুর মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে তৃণমূলের ওই প্রার্থীর পদ বাতিলের দাবিতে। তাঁদের কটাক্ষ তৃণমূল এই ধরনের লোককে প্রার্থী করছে যারা ভিন রাজ্যের ভোটার। মঙ্গলবার, রিষড়ার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টারও মারা হয়। তাতে লেখা ‘একটি লোকের দুটি নাম এবং দুটি ভোটার কার্ড কেন, তৃণমূল জবাব দাও।’
যদিও, গোটা ঘটনায় চুপ করে থাকেনি শাসক শিবিরও। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, ওটা তাঁর নাম না,তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি চক্রান্ত করছে। এর জবাব মানুষ দেবে। অন্য়দিকে, তৃণমূল হুগলি শ্রীরামপুর জেলা সভাপতি স্নেহাশিষ চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘদিন আগে পার্থসারথী গুপ্তা এই রাজ্যে চলে আসেন। নিয়ম হল নতুন কোনও জায়াগায় ভোটার লিস্টে নাম তুলতে গেলে পুরোনো জায়গার নাম দেখাতে হয়। এবার পুরনো লিস্টের নাম বাদ দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ভোটারের না। আর উত্তর প্রদেশের যে লিস্টে নাম দেখানো হচ্ছে তা পার্থসারথীর না।
বিজেপির অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর জেলার সাজানবা বিধানসভায় নাম রয়েছে পাপ্পু গুপ্তার। তাঁর বাবার নাম রাজেন্দ্র গুপ্তা। এই পাপ্পুই পার্থসারথী গুপ্তা যাঁর নাম রয়েছে শ্রীরামপুর বিধানসভার ১৫৯ নম্বর পার্টের ৭০৫ নম্বর সিরিয়ালে। তিনি রিষড়া পুরসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। একই ব্যক্তি দু’জায়গার ভোটার। তাই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারেন না।
মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে যে সব তথ্য জমা দিতে হয় তা জমা দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। এরপরে যদি অন্য কিছু থাকে তা দেখা হবে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
শ্রীরামপুর: প্রার্থী তালিকা নিয়ে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তৃণমূলকে (TMC Candidate List)। শাসকের অন্দরের আগুন নেমে এসেছে রাস্তায়। যেদিন থেকে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে সেদিন থেকে নানা ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে প্রত্যেক জেলা থেকে। কোথাও একই নামের দুই প্রার্থী, কোথাও এক-একটি ওয়ার্ডে দুজন টিকিট পেয়েছেন (TMC)। কখনও আবার অপছন্দের প্রার্থীর জন্য রাস্তায় টায়ার জ্বলছে। এই রকম নানা ভুরি-ভুরি উদাহরণ দেখেছ গত কয়েকদিন ধরে বাংলা। এবার এক নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে রিষড়া তৃণমূলে।
কী ঘটনা?
সূত্রের খবর, রিষড়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন পার্থসারথী গুপ্তা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি উত্তরপ্রদেশের গোরোক্ষপুরের ভোটার। এখানেই শেষ নয়, ওই প্রার্থীর নাকি দু’টি নাম, দু’টি ভোটার কার্ড। এবার স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এক প্রার্থীর দু’টি নাম, দু’টি ভোটার কার্ড হয় কীভাবে?
গোটা বিষয়টি দেখার পর মোটেই ছেড়ে দেয়নি বিজেপি। আঁটঘাট বেঁধে পথে নেমেছে তাঁরা। শ্রীরামপুর মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে তৃণমূলের ওই প্রার্থীর পদ বাতিলের দাবিতে। তাঁদের কটাক্ষ তৃণমূল এই ধরনের লোককে প্রার্থী করছে যারা ভিন রাজ্যের ভোটার। মঙ্গলবার, রিষড়ার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টারও মারা হয়। তাতে লেখা ‘একটি লোকের দুটি নাম এবং দুটি ভোটার কার্ড কেন, তৃণমূল জবাব দাও।’
যদিও, গোটা ঘটনায় চুপ করে থাকেনি শাসক শিবিরও। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, ওটা তাঁর নাম না,তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি চক্রান্ত করছে। এর জবাব মানুষ দেবে। অন্য়দিকে, তৃণমূল হুগলি শ্রীরামপুর জেলা সভাপতি স্নেহাশিষ চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘদিন আগে পার্থসারথী গুপ্তা এই রাজ্যে চলে আসেন। নিয়ম হল নতুন কোনও জায়াগায় ভোটার লিস্টে নাম তুলতে গেলে পুরোনো জায়গার নাম দেখাতে হয়। এবার পুরনো লিস্টের নাম বাদ দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ভোটারের না। আর উত্তর প্রদেশের যে লিস্টে নাম দেখানো হচ্ছে তা পার্থসারথীর না।
বিজেপির অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর জেলার সাজানবা বিধানসভায় নাম রয়েছে পাপ্পু গুপ্তার। তাঁর বাবার নাম রাজেন্দ্র গুপ্তা। এই পাপ্পুই পার্থসারথী গুপ্তা যাঁর নাম রয়েছে শ্রীরামপুর বিধানসভার ১৫৯ নম্বর পার্টের ৭০৫ নম্বর সিরিয়ালে। তিনি রিষড়া পুরসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। একই ব্যক্তি দু’জায়গার ভোটার। তাই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারেন না।
মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে যে সব তথ্য জমা দিতে হয় তা জমা দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। এরপরে যদি অন্য কিছু থাকে তা দেখা হবে।