নয়া দিল্লি: বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলায় ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে রাজ্যকে। হুগলির শ্রীরামপুরের বিজেপি নেতা কবীর শঙ্কর বোস। তাঁর অভিযোগ, গত ৬ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বেশ কিছু ছেলে তাঁর রাস্তা আটকায়। বিজেপি নেতার অভিযোগ, সঙ্গে থাকা সিআইএসএফ কর্মীরা রাস্তার ছাড়া জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি কেউ। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর পাপ্পু সিংয়ের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
West Bengal: Violence erupted between TMC & BJP party workers in Hooghly district, yesterday
“A BJP goon is living here under CISF protection. He’s in regular touch with Jagdeep Dhankar. The CISF lathi-charged our workers who were gathered here,” says TMC MP Kalyan Banerjee pic.twitter.com/RhgaU5LmwU
— ANI (@ANI) December 7, 2020
এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দেন বিজেপি নেতা। সেখানে বলেন, সে দিনের ঘটনা ঘিরে এলাকার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য পুলিসের সক্রিয় সহায়তায় এরপর তৃণমূল আশ্রিত প্রায় ২০০ দুষ্কৃতী তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। এ দিন সেই আবেদনের ভিত্তিতেই রাজ্য সরকারকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আদালত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করেছে। কবীর শঙ্কর এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই বা বিশেষ তদন্তকারী দলের হস্তক্ষেপ আবেদন করেন।
West Bengal BJP spokesman & barrister Kabir Shankar Bose has been under siege in his flat in Srerampore. The TMC, in collusion with police, are preventing him from leaving or anyone from entering. His car has been smashed up. Has law & order broken down completely in WB?
— Swapan Dasgupta (@swapan55) December 7, 2020
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল রায়-সহ রাজ্যের এক ঝাঁক নেতা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। একই সঙ্গে আবেদন জানিয়েছিলেন, রাজ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি মামলাগুলি দায়ের হচ্ছে সেগুলির তদন্ত স্থগিত রাখা হোক।