আরামবাগ: সিপিএমের (CPIM) কৃষক সভার পার্টি অফিস দখল নিল বিজেপি। একটাই পার্টি অফিস বারবার হাত বদল। কখনও সিপিএমের, কখনও তৃণমূলের, আবার কখনও বিজেপির। বিজেপির থেকে সিপিএমের পার্টি অফিস পুনউদ্ধারের খবর আমরা দেখিয়েছিলাম ১০ মাস আগে। হইচই পড়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। এবার সিপিএমের সেই পার্টি অফিসই দখল করে নিল বিজেপি। বুধবার বিকালে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্টি অফিসে বিজেপির পতাকা উত্তোলন করে কর্মীদের মিষ্টিমুখ করালেন। বিজেপির মহিলা সমর্থকদেরও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। লোকসভা ভোটের আগে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
টিভি-৯ বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সিপিএমের এই কৃষক সভার পার্টি অফিসের একদিকে কাস্তে হাতুড়ি তারা আঁকা বেশ কিছু লাল পতাকা পড়ে আছে। অন্যদিকে বিজেপির পতাকা পতপত করে উড়ছে। যদিও প্রাক্তন সিপিএম কর্মী তথা বর্তমানে বিজেপি কর্মী অবনি গাঙ্গুলি জানাচ্ছেন, তারাই পার্টি অফিসটা তৈরি করেছিলেন। প্রথমে তৃণমূল নিয়েছিল তারপরে বিজেপি নিয়ে নেয়। আবারও সিপিএম নেয়। তবে তিনি জোট নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দলের অন্দরেই। যা সঞ্চারিত তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যেও। জোট নিয়ে ক্ষুব্ধ হওয়ায় বিজেপিতে যোগদানও করেন। তারপরই পার্টি অফিসটি বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ওই নেতা।
পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষের দাবি, সিপিএমের লোকজন তাদের পার্টি অফিসটি দিয়ে দিয়েছে। তিনি আবার পার্টি অফিস হস্তান্তরের কাগজও দেখান। এ নিয়ে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অভয় ঘোষ বলেন, পার্টি অফিস দখল করে ক্ষমতার দম্ভ বিকশিত করা যায় না। সিপিএমের গণসংগঠনগুলো বিজেপিকে লিখিতভাবে পার্টি অফিস দিয়ে দেবে এই কালচারে আমরা বিশ্বাসী নই। পশ্চিমবঙ্গে বাহুবলের খেলা হচ্ছে।