আরামবাগ ও জলপাইগুড়ি : আলুর দাম (Potato Price) নিয়ে ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে কৃষকদের। রাজ্যের নানা প্রান্তে রাস্তায় আলু ফেলে চলল বিক্ষোভ। দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal) থেকে উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। সর্বত্রই দেখা গেল একই ছবি। আলুর ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রাস্তায় আলু ফেলে ডানকুনি আরামবাগ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ বাম কৃষক সংগঠনের। এদিন ডানকুনি-আরামবাগ রোডের তারকেশ্বরের পিয়াসারা এলাকায় রাস্তায় আলু ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাম কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের স্পষ্ট দাবি, ৬৫০ টাকা কুইন্টল প্রতি আলুর যে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাড়িয়ে অবিলম্বে কুইন্টল প্রতি হাজার টাকা দাম ধার্য করতে হবে।
আলুর দাম না বাড়ানো হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বাম কৃষক সংগঠনের। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি ধরে চলে অবরোধ। অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। অবরোধ শেষে একটি পথসভাও করেন সংগঠনের সদস্যরা। অন্যদিকে একই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে জলপাইগুড়িতেও।
প্রকৃত কৃষকদের আলুর বন্ড দিতে হবে। কৃষকদের স্বার্থে সহায়ক মূল্য নিয়েও ভাবতে হবে সরকারকে। কিনতে হবে আলু। এরকমই একগুচ্ছ দাবিতে এদিন জলপাইগুড়ি ৭৩ মোড় এলাকায় রাস্তায় আলু ফেলে পথ অবরোধ করল সিপিএম প্রভাবিত কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভার সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশের সামনেই চলে অবরোধ। প্রায় ঘন্টা খানেক চলে পথ অবরোধ। ঘটনায় ব্যাপক যানজট হয় এলাকায়। প্রসঙ্গত, গত বছর আলু চাষীরা মাঠে যে আলু উৎপাদন করেছেন, তা প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ৫০০-৮০০ টাকা হিসেবে বিক্রি করেছেন। যাঁরা হিমঘরে আলু মজুত রেখেছিলেন, তাঁরা দাম পাননি। এদিকে আবার এই বছর জমি থেকে নতুন আলু তোলার পর চাষীরা পর্যাপ্ত মূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। যদিও এ বিষয়ে বিধানসভায় মুখ খুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আলুর দাম কম হওয়ায় চাষীরা সমস্যায় পড়েছেন। আমরা ৬.৫০ টাকায় আলু কিনছি। পরে দাম বাড়লে ব্যবহার করা হবে। আমাদের কৃষকরা ভাল আছেন। তাঁদের আয় চার গুণ বেড়েছে।”