Tragic Incident: গলায় গামছা নিয়ে খেলছিল ছোট্ট তিয়াসা, পাশে রাখা টেডি বিয়ার সরে যেতেই সব শেষ
Bansberia: ঘটনার সময় বাড়িতে শুধু দুই বোনই ছিল। মা কাজে গিয়েছিল। সেই সময়েই এই অঘটন ঘটে যায়। বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হতেই, তাঁরা কিশোরীকে উদ্ধার করে দ্রুত মগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালের চিকিৎসক তিয়াসাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
![Tragic Incident: গলায় গামছা নিয়ে খেলছিল ছোট্ট তিয়াসা, পাশে রাখা টেডি বিয়ার সরে যেতেই সব শেষ Tragic Incident: গলায় গামছা নিয়ে খেলছিল ছোট্ট তিয়াসা, পাশে রাখা টেডি বিয়ার সরে যেতেই সব শেষ](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/06/Large-Image-Bansberia.jpg?w=1280)
বাঁশবেড়িয়া: গামছা গলায় নিয়ে খেলছিল। পাশেই রাখা ছিল একটি টেডি বিয়ার। আচমকা সেই টেডি বিয়ারটি সরে যেতেই গলায় ফাঁস লেগে যায়। আর তাতেই মৃত্যু চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত ওই কিশোরীর নাম তিয়াসা টিকাদার। বয়স ৯ বছর। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় বাড়িতে শুধু দুই বোনই ছিল। মা কাজে গিয়েছিল। সেই সময়েই এই অঘটন ঘটে যায়। বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হতেই, তাঁরা কিশোরীকে উদ্ধার করে দ্রুত মগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালের চিকিৎসক তিয়াসাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা যাচ্ছে, ওই নাবালিকারা দুই বোন। মা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বাবা জীবিত, তবে পরিবারের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ নেই। ছোটবেলা থেকে দুই বোনকে কোলে পিঠে করে বড় করে আসছেন তাদের দিদিমাই। কিন্তু এদিন ঘটনার সময় তিনিও বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, আজ দুপুরে যখন তিয়াসা গামছা গলায় নিয়ে খেলছিল, তখন ছোট বোন দিদিমাকে ফোন করে জানিয়েছিল সে কথা। তা শুনেই সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী এক মহিলাকে ফোন করেন দিদিমা। বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিতে বলেন। এরই মধ্যেই এই অপ্রত্যাশিত মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়।
রবিবার দুপুরে এই ঘটনার পর ভেঙে পড়েছেন তিয়াশার বাড়ির লোকেরা। অঝোরে কাঁদছেন দিদিমা। শোকবিহ্বল পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও। এদিকে মগড়া থানার পুলিশ ওই কিশোরীর দেহ ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। কীভাবে মৃত্যু হল কিশোরীর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই।