হুগলি: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাস। হুগলি জেলা বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে বন্ধ করা হল বাস সার্ভিস পরিষেবা। চুঁচুড়ায় সোমবার বাস মালিকদের পক্ষ থেকে একটি সভা করা হয়েছে। সেই সভা থেকেই এমন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হল। বাস রুট থেকে যাতায়াত করছে টোটো। ফলত, দুর্ঘটনার ঝুঁকির পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে। সেই কারণে যাতে বাসরুটে টোটো না চলে দাবি নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল হুগলি জেলা বাস মালিকদের সংগঠন।
হুগলি জেলার চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর,তারকেশ্বর ও আরামবাগে রয়েছে বাস টার্মিনাল। জেলার মোট বাসের ৩৬ শতাংশ বাস চলে বর্তমানে। ইতিমধ্যে অনেক রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাস পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত পরিবার গুলোর অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। বাস মালিকদের অভিযোগ প্রথমে অটো পরে টোটোর দাপটে বাসের যাত্রী সংখ্যা কমতে থাকে।
প্রশাসনের কাছে এর আগে দাবি করা হয়েছিল বাস মালিকদের পক্ষ থেকে যে টোটো কোনও বাস রুটে চলতে পারবে না। ২০১৫ ও ১৭ সালে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও তা কার্যকরি হয়নি। ফলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর যাত্রী সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকায় এবার বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন বাস মালিকরা। তাঁদের অভিযোগ, টোটো চালিয়ে তারা জিটি রোড ও বড় রাস্তা ধরে বহু দূর চলে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। টাকার যোগান দিতে না পারায় বাস বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই বলে দাবি বাস মালিকদের। তাদের সাফ দাবি আগামীকালের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে ২ তারিখ থেকে ধাপে ধাপে গোটা জেলাতেই বাস বন্ধ থাকবে।এতে সমস্যায় পরবে দূর পাল্লার বাস যাত্রীরা।
বাস মালিক দেবব্রত ভোমিক বলেন, “আমরা বার বার প্রশাসনকে জানিয়েছি। জেলা শাসক, আরটিও,পুরসভা গুলিকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর্থিক সংকটের কারণে আমরা বাস বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি। প্রশাসন আমাদের এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দিক। বাস যাত্রী অভিষেক নিয়োগি বলেন, “ধনিয়াখালী থেকে চুৃঁচুড়া আসার ভালো রুট হল ১৭ থেকে ১৮ নম্বর বাস। আর বাস বন্ধ হলে যাত্রীদের অসুবিধা হবে। জেলা আদালত, হাসপাতাল বা অন্য কাজে আমাদের আসতে হয় শহরে। এবার ঘুরপথে কাটা সার্ভিসে আসতে সময় অর্থ দুটোই বেশি যাবে। সরকারের কিছু ভাবনা চিন্তা করা দরকার।”