তারকেশ্বর: সোমবার সন্ধেয় তারকেশ্বর জয়কৃষ্ণ বাজার এলাকায় হঠাৎ জটলা। দুই কিশোর ও দুই কিশোরীকে ঘিরে রেখেছে বেশ কিছু লোকজন। ব্যাপারটা কী! জানা যাচ্ছে, ওই দুই কিশোরের কাউকেই চেনে না দুই কিশোরী। ফেসবুকে তাদের আলাপ। আর এরপরই বাঁকুড়া থেকে সোজা চলে এসেছে তারকেশ্বরে! আজ সন্ধেয় ওই চারজনের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় আশপাশের লোকেদের। এরপর তাদের প্রশ্ন করতেই প্রথমে অসংলগ্ন উত্তর আসতে শুরু করে। তখন এলাকাবাসীরা চারজনকে আটকে পুলিশে খবর দেয়। এসবের মধ্যেই এলাকার পরিস্থিতি একটু একটু করে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল। বেগতিক বুঝে এক কিশোর এলাকা থেকে চম্পট দেয়। পরে পুলিশ এসে দুই কিশোরী ও এক কিশোরকে থানায় নিয়ে যায়।
দুই নাবালিকার বাড়ি বাঁকুড়ার রায়পুর এলাকা। তারকেশ্বর-ফুলকুসুমের বাসে আজ সন্ধেতেই বাঁকুড়া থেকে তারকেশ্বরে গিয়েছে তারা। কিন্তু দুই কিশোরের কাউকেই তারা চেনে না বলেই দাবি করছে। কিশোরীদের দাবি, তাদের বাবা-মা তারকেশ্বরে আছে, এই বলে এক কিশোর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই কারণেই তারা বাসে চেপে তারকেশ্বরে চলে এসেছে। জানা যাচ্ছে, যে কিশোরকে ধরা হয়েছে, তার বাড়িও তারকেশ্বরে নয়। ওই কিশোরের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাঁশদ্রোণী এলাকায়। অসংলগ্ন কথাবার্তা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন তারকেশ্বর থানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং দুই কিশোরী ও এক কিশোরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দুই কিশোরী ও এক কিশোরের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশকর্মীরা। কীভাবে দুই কিশোরী বাঁকুড়া থেকে তারকেশ্বরে চলে এল, কী কারণে এসেছে, সেই সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তারকেশ্বর থানার পুলিশ সূত্র জানা যাচ্ছে, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল এই কিশোর-কিশোরীদের। কিন্তু কী কারণে তারা হঠাৎ কেউ বাঁকুড়া থেকে তারকেশ্বরে, কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে তারকেশ্বরে চলে এল, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।