হুগলি: রবিবার সকালে যেভাবে শৌচাগার থেকে চার বছরে স্বর্ণাভ সাহার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাতে চমকে গিয়েছে গোটা এলাকা। সারারাত ড্রোন, স্নিফার ডগ দিয়ে খোঁজার পর যেভাবে হঠাৎ বাথরুমের দরজা খুলে ঠাকুরদা বলে ওঠেন, ‘এটা কার বাচ্চা!’, তাতে অবাকই হচ্ছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন সেই ঠাকুরদা অর্থাৎ শম্ভু সাহা। ঠাকুমা চায়না সাহা ও জ্যেঠিমা টুম্পা মজুমদার সাহাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কে খুন করল স্বর্ণাভকে?
হুগলির গুপ্তিপাড়ায় গত শনিবার আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় ওই শিশু। পুলিশ চিরুণি তল্লাশি চালালেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। রবিবার সকালে শিশুর ঠাকুরদা শৌচালয়ের দরজা খুলে সবাইকে ডাকেন ও দেখান ভিতরে পড়ে রয়েছে এক শিশু। উদ্ধার করা হয় স্বর্ণাভকে, হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সে বাঁচেনি। আজ সোমবার সেই মামলায় ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।
তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শিশুকে তার দাদুই খুন করে লুকিয়ে রেখেছিলেন! পরে সুযোগ বুঝে পুলিশের নজর এড়িয়ে তাকে শৌচালয়ে ফেলে দেন বলে সন্দেহ পুলিশের। আরও জানা গিয়েছে, সবাই যখন স্বর্ণাভকে খুঁজছে, তখন ঘন্টা দুয়েকের জন্য ঠাকুরদা বেরিয়ে যান। ফিরে এসে জানান, নাতি কোথায় আছে জানার জন্য তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ তিনজনকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে। কান পাতলেই ধৃত ঠাকুরদা শম্ভু সাহা সম্পর্কে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, শম্ভু ছিলেন বদমেজাজী। ছোট বউমা অর্থাৎ স্বর্ণাভর মা-কে পছন্দ করতেন না একেবারেই। শুধু তাই নয়, তিনি নাতিকেও দেখতে পারতেন না বলে শোনা যায়। নিজের স্ত্রীকেও মারধর করতেন বলে অভিযোগ। তবে আদালতে যাওয়ার পথে তিন জনই জানান যে তাঁরা খুন করেননি।