হুগলি: বাবার কাছে মাংস খাওয়ার বায়না করেছিল পাঁচ বছরের শিশু। মেয়েকে রেখে মাংস কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন বাবা। পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট, বাবা ফিরে এসে দেখেন, ঘরে মেয়ে নিয়ে। শুরু হয় খোঁজ। খুব স্বাভাবিকভাবেই আশপাশের বাড়িগুলিতে খোঁজ করছিলেন বাবা। এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মশারি জড়ানো অবস্থায় পড়ে ছিল পাঁচ বছরের মেয়ের দেহ। ভয়ঙ্কর নৃশংস ঘটনা হুলির গুড়াপে। পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার অভিযুক্ত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ শিশুকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুজির পর এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ওই শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় গুড়াপ থানায়।
গুড়াপ থানার পুলিশ গিয়ে শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে ধনিয়াখালি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। অভিযুক্তকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে এই মামলার তদন্তভার সার্কেল ইন্সপেক্টর ধনিয়াখালির উপর দেওয়া হয়েছে। চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
ঘটনার পর হুগলি জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার এবং অন্যান্য পদস্থ অফিসারা ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসী এবং নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সুপার এই মামলার তদন্তের সহায়তার জন্য হুগলি জেলার উচ্চ পদস্থ কর্তাদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছেন।
শিশুর বাবার অভিযোগ, “মেয়ে সাধ করে মাংস খেতে চেয়েছিল। তাই গিয়েছিলাম। সব শেষ!” তাঁর বিস্ফরক অভিযোগ, “অভিযুক্ত এর আগে বহুবার গবাদি পশুদের সঙ্গে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছে। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি,তখন এত বুঝতাম না।”
প্রতিবেশীদেরও অভিযোগ, অভিযুক্তের স্বভাব ভাল ছিল না। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।