রিষড়া: হুগলি জেলার রিষড়ার সঙ্গে গভীর যোগাযোগ ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। রিষড়ায় থাকা বোস হাউস থেকেই ছড়িয়েছিল সুভাষের অন্তর্ধান হওয়ার খবর। এমনকি আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যোগ রয়েছে রিষড়ার বোস হাউসের। সেই বোস হাউসের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে বেলুড় মঠের হাতে। রবিবার সেই বোস হাউসে আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার বিষয় ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও শরৎচন্দ্র বসু সম্পর্ক সন্ধানে। সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সুগত বসু এবং নিউ ইয়র্কের বেদান্ত সোসাইটির মিনিস্টার ইনচার্জ স্বামী সর্বপ্রিয়ানন্দজি। মহারাজ।
নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের কর্মকান্ডে রিষড়া বোস হাউসের নিবিড় যোগের বিষয়টি উঠে এসেছে সুগত বসুর কথায়। আজাদ হিন্দ ফৌজ স্মারক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, “১৯৪১ সালে ২৬ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধানের খবর রিষড়ার বোস হাউস থেকেই বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই বছরেই খবর হয় নেতাজী কাবুল থেকে ইউরোপ পৌঁছে গিয়েছেন। ১৯৪১ সালের এপ্রিল মাসে জাপানি কনসোল জেনারেল কাটসুমি ওকাজাকি শরৎ বসুর সঙ্গে রিষড়ার বোস হাউসে গোপনে দেখা করেন। সেখানে বসেই জাপান কী ভাবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে সহযোগিতা করবে সেই নিয়ে কথা হয়। বার্লিন থেকে টোকিয়োর মারফত নেতাজির বেতার বার্তা ওকাজাকি শরৎ বসুকে পৌঁছে দেন। একই ভাবে শরতের বার্তা ও নেতাজির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় বেতার বার্তার মাধ্যমে।” বেদান্তের আলোকে নেতাজির কর্মজীবন তুলে ধরেন স্বামী সর্বপ্রিয়নন্দজী মহারাজ।