Debasis Majumder: বিস্কুটের কারখানায় কাজ করে ব্রহ্মা জয় করে ফিরলেন হুগলির দেবাশিস

Ashique Insan | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 20, 2023 | 12:05 PM

Debasis Majumder: তবে হাতের মুঠোয় এই জয় প্রথমেই উঠে আসেনি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রথমে শৃঙ্গ জয়ের চেষ্টা করা করলেও সফল হননি দেবাশিস ও তাঁর সঙ্গীরা।

Debasis Majumder: বিস্কুটের কারখানায় কাজ করে ব্রহ্মা জয় করে ফিরলেন হুগলির দেবাশিস
দেবাশীস মজুমদার
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

চুঁচুড়া: পাহাড় কন্যা পিয়ালী বসাকের পর আবারও হুগলিকে গর্বিত করল এক ছেলে। ব্রহ্মা এক শৃঙ্গ জয় করে ফিরলেন চুঁচুড়ার দেবাশিস মজুমদার। তাঁর সাফল্যে আবারও গর্বিত গোটা জেলা। ২০০০ হাজার সালে বাবার মৃত্যু হয় দেবাশিসের। এরপর মামার বাড়িতে বড় হওয়া তাঁর। শারীরিকভাবে মা রিনা মজুমদার অসুস্থ। একবার হার্ট-অ্যাটাকও হয়েছে। ছোটবেলায় যেহেতু বাবাকে হারিয়েছেন সেই কারণে সংসারের হাল ধরতে বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। বৈদ্যবাটি কলেজ থেকে স্নাতকের জন্য ভর্তি হয়েও লেখাপড়ায় ইতি টানতে হয়েছিল তাঁকে। মামার একটি সামান্য বিস্কুটের কারখানায় কাজ করে শৃঙ্গ জয়ের স্বপ্ন দেখা ভোলেননি দেবাশিস। এরপর গত ৩০ জুন ব্রহ্মা জয়ে বের হন দেবাশিস ও তাঁর সঙ্গী-সাথীরা। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ব্রহ্মা শৃঙ্গ জয় করেন তিনি। যার উচ্চতা ৬ হাজার ৪১৬ মিটার।

তবে হাতের মুঠোয় এই জয় প্রথমেই উঠে আসেনি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রথমে শৃঙ্গ জয়ের চেষ্টা করা করলেও সফল হননি দেবাশিস ও তাঁর সঙ্গীরা। শৃঙ্গ খুঁজে না পেয়ে ১৩৬ মিটার দূর থেকে ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় গত রবিবার দুর্ঘটনার কবলেও পড়তে হয়। কিন্তু ভেঙে না পড়ে ফের যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। অর্থাৎ সোমবার যাত্রা করেন। এরপর তিনজন বেস ক্যাম্পে থাকলেও পাঁচজন শেরপাকে নিয়ে বাকি ন’জন পৌঁছয় শৃঙ্গে। শেষমেশ দেবাশিস ও তাঁর সঙ্গীরা জয় করেন ব্রহ্মা।

পর্বত আরোহনের পাশাপাশি অ্যাথলেটিক্সেও সুনাম রয়েছে দেবাশিস মজুমদারের। চুঁচুড়া মাঠের ধারে একটি ক্লাবে বেশ কয়েকজনকে সাঁতারও শিখিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডের একজন পর্বত আরোহী এই শৃঙ্গ জয় করেন। এরপর শেষবারের মতো ১৯৭৯ সালে এক দল পর্বত আরোহী এই শৃঙ্গ জয় করেন। কিন্তু এরপর আর কেউ পৌঁছতে পারেননি। দীর্ঘ ৪৪ বছরের সেই খরা কাটিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার শৃঙ্গ জয় করলেন বাঙলার ছেলে দেবাশিস মজুমদার।

এ দিকে, ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেবাশিসের শয্যাসায়ী মা। অপরদিকে, দেবাশিসের মামা বলেন, “পর্বত ওর কাছে খুব প্রিয়। যখনই সময় পায় শৃঙ্গ জয় এর লক্ষ্যে বেরিয়ে পড়ে। প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় মধ্যে ছিলাম আমরা। এমনকী রাতের ঘুম হয়নি। যখন শুনতে পাই ১৩৬ মিটার দূর থেকে ফিরে চলে এসেছে। এমনকী এক শেরপাও উপর থেকে পড়ে গিয়েছেন শুনেছি। এত প্রতিকূলতার পর শেষমেশ শৃঙ্গ জয় করতে পেরেছে।”

Next Article