হুগলি: হুগলির আরামবাগ লোকসভার সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে ঘিরে বিক্ষোভ। তৃণমূলের একটি ঘোষিত কর্মসূচিতে হাজির হতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা হরিপালের চন্দনপুর এলাকায়। সেই উত্তেজনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় হরিপাল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণ পুলিশি পাহারায় বসে থাকতে দেখা যায় সাংসদকে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায়ও জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার পর এলাকায় একবারও আসেননি অপরূপা পোদ্দার। এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজও তিনি করেননি বলে অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। ভোটের সময় শুধুমাত্র এসেছিলেন। তারপর গত তিন বছর ধরে তাঁকে এলাকায় আসতে দেখা যায়নি। তাই এলাকার মানুষ চাননা উনি এখানে আর আসুন।
বস্তুত, হরিপাল ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের উদ্দ্যোগে চন্দনপুরে রেল সাবওয়ের দাবি জানিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে চন্দনপুর স্টেশন মাস্টারকে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপাল বিধায়ক করবি মান্না সহ হরিপাল ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বদের। সেই কর্মসূচিতে হঠাৎই হাজির হন আরামবাগ লোকসভার সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এক প্রকার বিনা আমন্ত্রণে সাংসদ এলাকায় ঢুকতেই বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে তৃণমুল কর্মীরা।যদিও, ঘোষিত কর্মসূচিতে হাজির হননি মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপাল বিধায়ক করবি মান্না। যার জেরে কর্মসূচি ভেস্তে যায় বলে বলে খবর। এ দিকে, বিক্ষোভের বিষয়ে সাংসদকে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি।
এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘আজকে একটি সভা ছিল। সেই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেনা না অপরূপা পোদ্দার। কিন্তু উনি হঠাৎ চলে আসেন। এদিকে, ভোটের পর থেকে আর ওনার কোনও পাত্তাই পাওয়া যায়নি। সেই কারণে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।’
এরপর দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর চন্দনপুর থেকে বেরিয়ে যান সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি জানান, ‘আমি তৃণমূলের যে কোনও কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। আজকে চন্দনপুরে সাবওয়ের দাবিতে কর্মসূচি ছিল সেই কর্মসূচিতেই যোগ দিতে এসেছিলাম। বাকি যা বলার দলকে বলব।’