হুগলি: পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে মা’কে ফোন করেছিলেন পড়ুয়া। বলেছিলেন ‘খুব টেনশন হচ্ছে মা।’ পরীক্ষা দিয়ে বেরনোর পরে ফের বাড়িতে ফোন করেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র। এবার ফোন বাবাকে। ফোন করে বলেন ‘পরীক্ষা ভাল হয়নি।’ সেটাই যে হবে শেষ ফোন, এটা ভাবতেও পারেননি মা-বাবা। এরপরই ফোনে শোনা যায় সেই মর্মান্তিক খবর।
হুগলির বাসিন্দা ওই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দুর্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। হুগলির ব্যান্ডেলের দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জোড়াশ্বত্থতলার বাসিন্দা ছিলেন অর্পণ ঘোষ। দুর্গাপুরে পড়াশোনার জন্য থাকতেন তিনি।
জানা গিয়েছে দুর্গাপুর এন আই আই টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন অর্পণ। কলেজে পরীক্ষা চলছিল। প্রথম পরীক্ষার পর অর্পণ নিজের হস্টেলের ঘরে ফিরে যায় বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। এরপর সহপাঠীরা হস্টেলে পৌঁছেই দেখতে পান অর্পণের ঝুলন্ত দেহ। এরপরই খবর যায় ব্যান্ডেলে দেবানন্দপুরের অর্পণের বাড়িতে।
অর্পণের বাবা অলোক ঘোষ পেশায় শিক্ষক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যথেষ্ট মেধাবী ছাত্র ছিলেন অর্পণ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকা জুড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের সকলেই দুর্গাপুরে ছুটে যান। অর্পণের মা পলি ঘোষ বলেন, “পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে সকাল সাড়ে আট টা নাগাদ ফোনে কথা হল ছেলের সঙ্গে। বলল, মা টেনশন হচ্ছে। আমি বললাম টেনশন করিস না। পরীক্ষা দিয়ে বাবাকে ফোন করে বলেছিল পরীক্ষা ভাল হয়নি। এর ঠিক এক ঘণ্টা পরই এই ঘটনা।”