চন্দননগর: মঙ্গলবার সকাল থেকেই ‘অ্যাকশন মোডে’ ইডি। লোকসভা ভোটের মুখে একশো দিনের কাজের তদন্তে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। চুঁচুড়া, ঝাড়গ্রাম, বহরমপুর এমনকী কলকাতার সল্টলেকেও চলেছে তল্লাশি। এর আগে রেশন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাবড়-তাবড় নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকী একাধিক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতে চলেছে তল্লাশি অভিযান। কিন্তু এই বোধহয় প্রথম, পঞ্চায়েত কর্মীদের বাড়িতেও পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এ দিন, চন্দননগরে হরিদ্রাডাঙা এলাকায় সন্দীপ সাধুখাঁ নামে এক নির্মাণ সহায়কের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। সন্দীপ সাধুখাঁ আগে ধনিয়াখালীর বেলমুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক ছিলেন। বর্তমানে তিনি খানাকুলের জগৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক পদে রয়েছেন। সন্দীপবাবুর বাড়িতে তাঁর মা মলিনা দেবী, স্ত্রী মৌসুমী রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা।
সন্দীপের মা মলিনা বলেন,”সন্দীপের বাবা অমল সাধুখাঁ ২০০৮ সালে প্রয়াত হন। উনি রেলে চাকরি করতেন। ছেলে তার আগেই পঞ্চায়েতে চাকরি পায়। ১৯৮৪ সালে আমরা এখানে বাড়ি করেছি। ইডি কেন এল, কীসের তদন্তে এসেছে সেই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।” অপরদিকে, সন্দীপের স্ত্রী মৌসুমী সাধুখাঁ বলেন, “আমার স্বামী এখন খানাকুলের একটি পঞ্চায়েতে আছেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও তিনি কাজে বেরিয়ে যান। বাড়িতে ইডি অফিসাররা এসে ওনার কথা জিজ্ঞেস করেন। আমি ওদের ফোন নম্বর দিয়ে দিই। তবে এই সব দুর্নীতির বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না।”
বস্তুত, একশো দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সামনে আসে । এই নিয়ে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালে ধনিয়াখালি,মুর্শিদাবাদ সহ মোট পাঁচটি মামলা দায়ের হয়। এই প্রথমবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে।