Arambagh: বাজি পোড়াতে গিয়ে বিজেপি নেতার কাকার বাড়িতে আগুন, নেভাতে ছুটল তৃণমূল কর্মীরা, ছুটে এলেন বিধায়ক
Fire in Arambagh: শোরগোল পড়ে গিয়েছে খানাকুলের রাজহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশালীর বেনাপুকুর এলাকায়। এখানেই বাড়ি জয়দেব সাঁতরা। তিনি আবার সম্পর্কে বিজেপির খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মিঠুন সাঁতরার কাকা।

খানাকুল: পুলিশি নিষেধাজ্ঞা থেকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাপট চলেছে শব্দবাজির। কলকাতা হোক বা জেলা, সর্বত্রই দেখা গিয়েছে একই ছবি। এরইমধ্যে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের কাকার বাড়িতে বাজি থেকে গেলে গেল আগুন। আর সেই আগুন নেভাতে ছুটে গেল তৃণমূলের লোকজন। যদিও শেষ পর্যন্ত ভষ্মীভূত হয়ে গেল বাড়ির বড় অংশ। তারপরই পৌঁছাল পুলিশ। দীপাবলির মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা খানাকুলের।
শোরগোল পড়ে গিয়েছে খানাকুলের রাজহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশালীর বেনাপুকুর এলাকায়। এখানেই বাড়ি জয়দেব সাঁতরা। তিনি আবার সম্পর্কে বিজেপির খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মিঠুন সাঁতরার কাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, জয়দেব সাঁতরার বাড়ির কাছেই বাজি পোড়াচ্ছিল বাচ্চারা। সেখানে থেকেই কোনওভাবে আগুন লেগে যায়। কিছু সময়ের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় বাড়ির বড় অংশ। আগুন লেগে যায় আশপাশের ৫টি বাড়িতেও। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে ছুটে যান তৃণমূলের খানাকুল ২ সমিতির তৃণমূল সদস্য নূর নবী মণ্ডল। একইসঙ্গে খবর পেয়ে ছুটে যান খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। বেশ কিছু সময় পর আসে পুলিশ। তবে ততক্ষণে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
প্রথমে যে বাড়িতে আগুন লেগেছে তার পাশেই একটি ঝুপড়ি ছিল। তবে স্থানীয়দের তৎপরতায় সেটা রক্ষা পেয়ে গিয়েছে। এদিকে বাড়িটি দাউদাউ করে জ্বলতে দেখে ২ জনের প্যানিক অ্য়াটাক হয়। আহত হন আরও দু’জন। তাঁদের উদ্ধার করে খানাকুল হাসপাতালে নিয়ে যায় খানাকুল থানার পুলিশ।
খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য নূর নবী মণ্ডল বলছেন, “বাড়িটির খড়ের চাল। সেখানেই প্রথমে আগুন লেগে যায়। খবর পাওয়া মাত্রই আমরা সকলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। পুলিশও কিছু সময়ের মধ্যে এসে যায়। আমরা ওই পরিবারের পাশে আছি।”
