হুগলি : ধৃত আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর ফোন থেকে নাকি একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ভিনরাজ্যের ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিধায়কের আর্থিক নেলদেনের হদিশ মিলেছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বললেন ফুরফুরার পীরজাদা সৈয়দ নাজিম উদ্দিন দাবি করলেন, নওশাদকে জঙ্গি তকমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। রাজ্যে রাজতন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করে পীরজাদা বলেন, ফুরফুরার আবেগে আঘাত করা হয়েছে। আর সব দলেরই যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে লেনদেন চলে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন পীরজাদা। গত মাসে ধর্মতলায় আইএসএফ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর গ্রেফতার করা হয় নওশাদকে। প্রথমে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন তিনি, পরে তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে বারুইপুরের অন্য একটি মামলায় রাজ্য পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন নওশাদ।
সোমবার এ বিষয়ে পীরজাদা সৈয়দ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এতদিন পুলিশ প্রশাসন কোথায় ছিল, এইসব তথ্য আগে তো পায়নি! তৃণমূলের বহু নেতার সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ ছিল, তাঁদের তথ্য কেন সামনে আসেনি? একটা দলের আর একটা দলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতেই পারে, এটা নিয়ে কেন ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে?’ তাঁর দাবি, সমস্ত দল ব্যবসায়ীদের টাকাতেই চলে। প্রত্যেকটা দলের সঙ্গেই ব্যবসায়ীদের আর্থিক লেনদেন হয় দল চালানোর জন্য। সেটা সংবিধানের বাইরে কিনা সেটা আগে দেখা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেন্নাই গিয়েছে পুলিশ। এ কথা শুনে পীরজাদা বলেন, ‘এরপর পুলিশ হয়ত পাকিস্তানেও যাবে, বলা হবে পাকিস্তান থেকে টাকা আসত। হয়ত সৌদি আরবেও যাবে।’
উল্লেখ্য, আদালতে সরকারি আইনজীবী দাবি করেছেন, নওশাদের মোবাইল ফোন থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। হাওয়ালা যোগের খোঁজ মিলেছে তাঁর চ্যাট থেকে। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে টাকার অঙ্ক নিয়ে কথা হয়েছে, এমনকী নির্বাচন কমিশনের কাকে কোথায় সরাতে হবে, তা নিয়েও পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে দাবি করেন ওই আইনজীবী। অন্যদিকে, নওশাদ বারবারই বলেছেন, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এ ব্যাপারে তৃণমূলের তরফে কেউ মন্তব্য করতে চাননি।