হুগলি: বকেয়া বিদ্যুতের বিল নিয়ে ফাঁপরে পড়েছে বিদ্যালয়। সুরাহার আশায় প্রশাসনের দারস্থ হয়েও সদুত্তর মেলেনি। গোঘাটের ভাবাদিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুতের বকেয়া বিল প্রায় ৮০,০০০ টাকা। কেন হল বিদ্যুতের এত বিল ? কে পরিশোধ করবে এই বিদ্যুতের বিলের টাকা ? ফাঁপরে পড়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশাসনের দরজায় ঘুরছেন দরখাস্ত নিয়ে। কোনও সদুত্তর এখনও মেলেনি। গোঘাটের ভাবাদিঘিতে রেল লাইনের জমি জোটে, আটকে রেল প্রকল্প আর এই নিয়েই এলাকায় ২০১৬-১৭ বর্ষ থেকে গন্ডগোল। এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বসেছে পুলিশ ক্যাম্প। এলাকায় ২৪ ঘন্টায় পুলিশ পোস্টিং আছে। আর বিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক ব্যবহার করার জন্য বিল বাড়ছে।
প্রধান শিক্ষকের কথায় আগে তিন মাস অন্তর ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিল আসতো। আগে বিদ্যালয় বছরে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা হিসাবে অফিসে পেমেন্ট করত বিদ্যালয়। আর বর্তমানে যা চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি দাঁড়িয়েছে। এই বিল পরিশোধ করার ক্ষমতা বিদ্যালয়ের নেই। যার ফলে মাসের পর মাস ওভারডিউ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুতের বিল। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছরের বিদ্যুতের বিল বাবদ প্রায় ৮০ হাজার টাকার কাছাকাছি বিল বকেয়া আছে। মাঝেমধ্যেই বিদ্যালয় বিদ্যুৎ দফতরের নোটিশ পান।
শিক্ষক থেকে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা সামনে গ্রীষ্মকাল, যদি হঠাৎ করেই বকেয়া বিল পরিশোধ না করার জন্য বিদ্যালয়ের বিদ্যুতের বিল কেটে দেওয়া হয় সমস্যায় পড়বে ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা। এই নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে বারবার লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা ফোনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। TV9 বাংলার প্রতিনিধি তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন।