এবার আস্ত স্কুলবাড়ির পালা, রোজই গঙ্গা-ভাঙনে একটু একটু করিয়ে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রাম!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 27, 2021 | 8:03 PM

Ganga Erosion: চাষের জমিকে আগেই গ্রাস করেছে গঙ্গা। এবার আস্ত স্কুলবাড়িটাও বিলীন হতে বসেছে। মাটি ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঠিক স্কুলের পাশ দিয়েই বয়ে চলছে গঙ্গা। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার। হুগলির বলাগড় ব্লকের চর খয়রামারি এলাকায় এমনই অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

এবার আস্ত স্কুলবাড়ির পালা, রোজই গঙ্গা-ভাঙনে একটু একটু করিয়ে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রাম!
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

হুগলি: চাষের জমিকে আগেই গ্রাস করেছে গঙ্গা। এবার আস্ত স্কুলবাড়িটাও বিলীন হতে বসেছে। মাটি ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঠিক স্কুলের পাশ দিয়েই বয়ে চলছে গঙ্গা। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার। হুগলির বলাগড় ব্লকের চর খয়রামারি এলাকায় এমনই অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

চাষের জমি আগেই গিয়েছে নদী গর্ভে। এবার পালা গ্রামের স্কুলবাড়িটার। সেটাও বিলীন হতে বসেছে। গঙ্গা ভাঙন আস্ত একটা স্কুলকে গিলে নিতে যাচ্ছে। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই গ্রামবাসীদের। গ্রামাবাসীদের অভিযোগ, বর্ষার মরসুমের আগে স্কুল থেকে অনেক দূরেই ছিল গঙ্গা। কিন্তু প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে আসছে নদী। নদীর পাড় ভাঙছে দ্রুত গতিতে। জিরাটের চর খয়রামারি গ্রামের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাটিতে ফাটল ধরে চাঙড় ধসে গঙ্গায় মিশে যাচ্ছে।

কলা বাগান,বাঁশ বাগান, চাষের জমি- সব একে একে চলে যাচ্ছে গঙ্গা বক্ষে। তাকিয়ে দেখা ছাড়া যেন আর কোনও উপায়ই নেই বলাগড় ব্লকের চর খয়রামারি ভাঙন কবলিত এলাকায়। চাষের জমি, গ্রামবাসীদের বাড়ি ঘর পর্যন্ত জলে তলিয়ে গিয়েছে। এখন পালা স্কুলের। চর খয়রামারি জিএসএফ প্রাথমিক স্কুলের সীমানা পাঁচিল ইতিমধ্যেই গঙ্গা গর্ভে চলে গিয়েছে। স্কুলের বারান্দায় এসে ধাক্কা মারছে গঙ্গার জল। যেকোনও সময় গোটা স্কুলটাই হয়ত তলিয়ে যাবে চোখের সামনে। পাশে থাকা এলাকার এক মাত্র ফ্লাড সেল্টারটির বেশ কিছু অংশ খেয়ে নিয়েছে গঙ্গা। নদীর পাড় যেভাবে ভাঙছে তাতে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। ভাঙন আটকানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন যেন এসব নিয়ে ভাবিতই নয়। কোথায় যাবেন তাঁরা।

এদিকে এ নিয়ে হুগলি তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান দায়ী করছেন কেন্দ্রকে। এখানেও সেই রাজ্য-কেন্দ্র বিবাদ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ। মেহেবুব জানিয়েছেন, কেন্দ্রের উদাসীনতায় গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কিছু করা যাচ্ছে না। বলাগড় ব্লকের অনেকটা এলাকা গঙ্গা ভাঙনের শিকার। এটা তাঁরাও জানেন। কিন্তু শুধু হুগলি জেলা তো নয়, অন্য জেলাও গঙ্গা ভাঙনের শিকার। সেটা নিয়ে ভাবা উচিত কেন্দ্রের বলে দাবি তৃণমূল নেতার। তিনি আরও যোগ করেন, ভাঙন আটকাতে বোল্ডার, তার-জাল ইত্যাদি ফেলা হয়েছে। কিন্তু এভাবে হবে না। স্কুল তলিয়ে গেলে হয়ত বিকল্প জায়গায় স্কুল করতে হবে। কিন্তু এটা তো স্থায়ী সমাধান নয়। নদীর নব্যতা না বাড়ালে ভাঙন কোনও ভাবেই ঠেকানো যাবে না বলে দাবি তাঁর।

উল্লেখ্য, শুধু হুগলির বলাগড়ই নয়, চলতি বর্ষার মরসুমে বিভিন্ন নদী ভাঙনে তলিয়েে গিয়েছে একাধিক জেলার গ্রামের একাংশ। উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ির মাল, কোচবিহারেও একই ছবি। সেখানকার, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফাঁসিরঘাট, গোলবাগান, মসজিদপাড়া, পাটাকুড়া এবং রানিবাগান এলাকার প্রায় ২০০টি পরিবার সহায়-সম্বলহীন। তোর্সার ভাঙনে জলের তলায় গোটা গ্রাম। আপাতত নদীবাঁধেই আশ্রয় নিয়ে দিন কাটছে তাঁদের। আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ভাঙার ‘প্রতিশোধ’ নিতে চায় তালিবান-সমর্থক বাংলাদেশি! গ্রেফতার 

 

Next Article