Hooghly: ভাড়াটে তুলতে খুন-ডাকাতিতে দাগী অপরাধীকে দেওয়া হয়েছিল সুপারি! সেই দেখিয়ে দিল সবটা
Hooghly: রিষড়া হেস্টিং মাঠের পার্শ্ববর্তী গোঁসাইবাগান এলাকায় গত মাসের ১৮ তারিখে দীপক জয়সওয়াল নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দীর্ঘদিন এসএসকেএমএ চিকিৎসাধীন থাকতে হয়।
হুগলি: ভাড়াটে উচ্ছেদ করতে গিয়েই বিপত্তি। এক ভাড়াটেকেই খুনের অভিযোগ ওঠে। এবার তার দেখানো জায়গা থেকেই উদ্ধার দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। রিষড়ায় গুলিচালনার ঘটনায় আগেই ধরা পড়েছিল অভিযুক্তরা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পদ্দুম সাউকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ছ’ রাউন্ড কার্তুজ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রিষড়া হেস্টিং মাঠের পার্শ্ববর্তী গোঁসাইবাগান এলাকায় গত মাসের ১৮ তারিখে দীপক জয়সওয়াল নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দীর্ঘদিন এসএসকেএমএ চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রদ্দুম সাউকে বিহার থেকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধার করল রিষড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকালে বাগখাল এলাকায় মূল অভিযুক্তকে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। একটি ওয়ান শাটার, ও একটি দেশি পিস্তল এবং ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত পদ্দুম সাউ স্বীকার করে আগ্নেয়াস্ত্র গুলি সেই লুকিয়ে রেখেছিল বাগখাল গঙ্গার ধারে বস্তির পিছন দিকে। পুলিশ অভিযু্ক্তকে নিয়ে বস্তিতে গেলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বস্তিবাসীদের দাবি কখন কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র অভিযুক্ত রেখে গিয়েছিল, তা তাদের অজানা। আজ পুলিশ সেগুলি উদ্ধারের পর তারা জানতে পারেন।
ঘটনার দু’সপ্তাহ পর ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হয়েছিল তিনজন। এরপর বিহার থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর ভাড়াটে দীপক জয়সওয়াল বাড়ি ছাড়তে চাইছিলেন না।ভাড়াটে উচ্ছেদ করতে দীপককে শিক্ষা দিতে পরিকল্পনা করেন রহিত,সূরজ,জয় আরও কয়েকজন। তাঁদের সঙ্গে দীপকের পুরনো শত্রুতা ছিল। কুখ্যাত দুষ্কৃতী পদ্দুম সাউকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল।
চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্নব বিশ্বাস জানিয়েছিলেন,পদ্দুম এর আগে ২০০৭ সালে রিষড়াতেই একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। ২০১৩ সালে কলকাতার বড় বাজারে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত।এর আগে পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। রিষড়ার ২১ এন এস রোডে বাড়ি হলেও থাকত বিহারের লক্ষ্মীপুরে।পুলিশ তার সঙ্গীদের জেরা করে জানতে পারে। অপরাধ করে বিহারে পালিয়ে যেত পদ্দুম। সেই সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।