TV9 ব্যুরো: অতিমারি পরিস্থিতি কালীপুজোয় শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে কড়া পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চালানো হচ্ছে অভিযান। একাধিক জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এবার আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১৫০ কেজি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল ও পুরশুড়া থানাতে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। এখনও পর্যন্ত আরামবাগ মহকুমায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত রাখার জন্য মোট ৭টি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের হীরাগ্রাম থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকেও। সোমবার সন্ধ্যায় খরগ্রাম থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নগর থেকে ওই নিষিদ্ধ শব্দবাজিগুলি বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনায় হীরা দত্ত নামে ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে খরগ্রাম থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পরিবেশ বান্ধব বাজি (Green Firecracker) বিক্রি করা হোক। পরিবশ বান্ধব বাজিই বিক্রি হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। তবে সব বাজি নিষিদ্ধ, এমনটা হতে পারে না বলেই মত শীর্ষ আদালতের। কালি পুজো (Kali puja) ও দিপাবলীতে (Diwali) কোনও ধরনের বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি। বিচারপতি এনএম খানউইলকর ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগীর বেঞ্চে আজ ছিল সেই মামলার শুনানি।
সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল, পরিবেশের পরিস্থিনি অনুকূল থাকলে পরিবেশ বান্ধব বাজির ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। সেই নির্দেশ সব রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও সেই নিয়ম মানতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজি নিয়ে হাইকোর্টের আলাদা রায়ে অখুশি সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন বলে দিয়েছে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের আদেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই বাজি সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দেশের বিরোধিতা করেছিল, আজ আবার সে কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আদালতের এই রায়ে খুশি আতসবাজি ব্যবসায়ীরা। আতসবাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা বাবলা রায় এ দিন বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট ভুল রায় দিয়েছিল। সেই রায় খারিজ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিম কোর্টকে। তিনি মনে করেন, এটা শুধু ৩১ লক্ষ ব্যবসায়ী জয় নয়, এটা বাংলার মানুষের জয়। তাই বাংরা মানুষকে সরকারি নির্দেশ মেনে, নির্ধারিত সময়েই বাজি ফাটানোর আর্জি জানান তিনি। তিনি আরও জানান, এ রাজ্যে পরিবেশ বান্ধব বাজির কোনও অভাব নেই।
তবে কলকাতা হাইকোর্ট সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করার পক্ষে রায় দিয়েছিল। ‘পরিবেশ বান্ধব’ তথা সবুজ বাজিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোতে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: Winter in Comming: কমছে তাপমাত্রা, কালীপুজোর আগে কি এক পশলা বৃষ্টি নাকি সরাসরি পড়বে শীত?