হুগলি: তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে সিপিআইএম-এ যোগ দিল প্রায় ৫০০ জন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বলাগড়ে শক্তি বাড়বে, দাবি সিপিআইএম এর। তবে সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তথা হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী দিনে আরও বেশ অনেকেই সিপিএমে যোগ দেবেন।
বৃহস্পতিবার সিপিআইএম বলাগড় ১ নম্বর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ হয় বলাগড় ব্লকের বাকুলিয়া ধোবাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুলিয়াপাড়া বাজারে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের দুর্নীতি বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় সিপিআইএম। রাজ্যের সাম্প্রতিকতম ইস্যু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ, অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজ চালু,বকেয়া মজুরি দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পার্টির নেতা রামকৃষ্ণ রায় চৌধুরী ও জেলা কমিটির সদস্য মহামায়া মণ্ডল, বিকাশ হেমব্রম।
এই মঞ্চেই তৃণমূল ও বিজেপির থেকে প্রায় ৫০০ জন লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নেন। তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বিমল বাউল দাস বলেন, “গত ১০ বছর থেকে তৃণমূল করছি। তবে তৃণমূলে দেখলাম সততা বলে কিছু নেই। শুধু টাকা আর টাকা। গরিব মানুষের কথা ভাবে না। সিপিএম-এর একটা নীতি আদর্শ আছে। তাই যোগ দিলাম আমরা ১০৯ টি পরিবার। তৃণমূল পার্টি আমাদের জন্য নয়, বাঁচতে হলে বামপন্থীদের সঙ্গেই থাকতে হবে।”
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসকদলের দুই হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী এখন জেলে। রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতি মামলা সামনে আসছে। বিরোধীদের আক্রমণে জেরবার শাসকদল। তার মধ্যে শাসক শিবির ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদান, পঞ্চায়েত ভোটের এক বিশেষ বার্তাবাহক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।