হুগলি: ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত উপ প্রধান খুনের ঘটনায় দোষীদের সাজা ঘোষণা আজ। দোষীদের ফাসিঁর সাজা চাইছেন মা ও মেয়ে। দোষীদের সাজা ঘোষণা করবে চুঁচরা আদালত। ২০১৮ সালের ২৩ শে মে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ধনেখালির গোপীনাথ পুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরা। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ১৩ জনের আজ সাজা ঘোষনা চুঁচুড়া আদালতে।
বেশ কয়েক বছর মামলা চলার পর গত মঙ্গলবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ পযন্ত ওই পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বেরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩মে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পঞ্চায়েত কাদের দখলে থাকবে, এই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপীনাথ পুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।
এদিকে, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে ‘১৮ সালের ২৩ মে ধনেখালি ব্লক অফিসে একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে যোগ দেন উপ প্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেড়া। বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার সময় কুমরুল বাজার এলাকায় ছুরি, শাবল রড নিয়ে তার উপর চড়াও হয় এক দল দুষ্কৃতী।
অভিযোগ, তাঁকে বাইক থেকে নামিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ পরে থাকার পরে নজরে পড়ে স্থানীয়দের। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাওড়ার নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। ২৫ মে ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর আসতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই পঞ্চায়েত এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামনো হয় RAFএবং বিশাল পুলিশ বাহিনী।
প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান চিত্তরঞ্জন সাঁতরা-সহ ১৩ জনের নামে ধনেখালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নিহত উপ প্রধানের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্তরা। পুলিশ তদন্তে নেমে ভিন রাজ্য থেকে তাদের গ্রেফতার করে। ১৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঁচ জন এখনও পলাতক। ১৩ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আজ সাজা ঘোষণা।