হুগলি: খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) নির্দেশ দিল আদালত। হুগলি জেলা আদালত (Hooghly District Court) দোষী সাব্যস্ত ওই দুষ্কৃতীকে সোমবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল। খুনের ঘটনার ১২ বছর পর সাজা ঘোষণা করা হল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালের ২৯ জুন। সেদিন রাত আটটা নাগাদ বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন শিবপুর ইসলামপাড়া বাইলেনের বাসিন্দা কেতাবউদ্দিন। মগরা থানার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়া কলবাজার এলাকায় কেতাবউদ্দিনের পথ আকটায় কুখ্যাত সমাজ বিরোধী বলে পরিচিত ধানুয়া ওরফে মহম্মদ মুক্তার ও তার দলবল। কেতাবউদ্দিনের উপর চড়াও হয় তারা। সেই সময় কেতাবউদ্দিন তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ধানুয়া আগ্নেয়াস্ত্র বের করে কেতাবউদ্দিন। পাইপগান দিয়ে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই গুলি লাগে কেতাবউদ্দিনের কানের পাশে। এদিকে গুলির শব্দ শুনে আশপাশের এলাকাবাসীরা বেরিয়ে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের তাড়া করে ধরার চেষ্টা করেন। সেই সময় ধানুয়া ও তার দলবল গুলি চালাতে চালাতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কেতাবউদ্দিনের।
হুগলি জেলা আদালতের স্পেশাল পিপি কালী প্রসাদ সিংহ জানান, ঘটনার পরেই ধানুয়া এ রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তদন্তে নেমে মগরা থানার পুলিশ উত্তর প্রদেশের ফরিদাবাদের এক হোটেল থেকে ধানুয়াকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সরকারি আইজীবী কালীপ্রসাদ সিংহ জানিয়েছেন, ইতিপূর্বেই ধানুয়া আরও আটটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। তাই অভিযুক্ত ধানুয়াকে জেলে রেখেই বিচারপর্ব শেষ করা হয়। গত ৬ মার্চ হুগলির প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ সঞ্জয় কুমার শর্মা অভিযুক্ত ধানুয়াকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এদিন বিচারক ধানুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
এদিকে এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত ধানুয়ার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হওয়ায় খুশি মৃত কেতাবউদ্দিনের পরিবার এবং কলবাজার এলাকার সাধারণ মানুষজন।