হুগলি: দুর্গাপুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। দেবিপক্ষের সূচনা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। সমস্ত পুজো কমিটিগুলি তাদের পূজা মণ্ডপ তৈরির কাজ চালাচ্ছেন জোর কদমে। চুঁচুড়ার আজাদ হিন্দ ক্লাবের দুর্গাপুজো ৭৩ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই বছরে তাদের পূজা মণ্ডপে আসলে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়বেন সমস্ত মানুষ। কারণ হারিয়ে যাওয়া ফেরিওয়ালারদের কাহিনী ফুটে উঠেছে মণ্ডপের মধ্যে দিয়ে।
৭৩ তম বর্ষে আজাদ হিন্দ ক্লাবের নিবেদন ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’। একটা সময় ছিল যখন ঘণ্টি বাজিয়ে বাড়ির বাইরে ফেরিওয়ালারা বিক্রি করতে আসতেন আইসক্রিম, হওয়াই মিঠাই, ঘটি গরম আরও কত কী! কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সব কিছু হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যেতে বসেছে ফেরিওয়ালাদের আনাগোনা।
বড় বড় ঝাঁ চকচকে শপিং মল কিংবা অনলাইন শপিং এর চক্করে কাজ হারিয়েছে অনেক ফেরিওয়ালারা। নব্বইয়ের দশক এমনকি ২০০০ সাল পর্যন্ত এদের দেখা মিললেও এখন অনেক ফেরিওয়ালারাই নিজেদের পেশা বদলে নিয়েছেন। এখন শহর অঞ্চলে তাঁদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। তাই সমস্ত ফেরিওয়ালাদের উৎসর্গ করে মণ্ডপ নির্মাণ করছে এই বছর আজাদ হিন্দ ক্লাব।
এই বিষয়ে ক্লাবের সম্পাদক বিশাল কাহার বলেন, “ছোটবেলার অনেকের অনেক স্মৃতি রয়েছে ফেরিওয়ালাদের নিয়ে। তাই এই বছর এই উপস্থাপনা।” তিনি আশাবাদী, তাঁদের মণ্ডপে যাঁরাই ঠাকুর দেখতে আসবেন, তাঁরা একবার হলেও তাঁদের ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করবেন। একই সঙ্গে এলাকার সমস্ত ফেরিওয়ালাদের পুজো কমিটির তরফে বিশেষ সম্মান জানানো হবে। শুধু তাই নয়, গোটা পুজো জুড়ে ফেরিওয়ালারা বিনা শুল্কে ব্যবসা করতে পারবেন মণ্ডপ চত্বরে।