হুগলি: রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে ভর্তির ফর্ম ফিলাপের আড়ালে চলছিল রেলেের চাকরির নামে প্রতারণা! ভয়ঙ্কর অভিযোগে শোরগোল হুগলির পাণ্ডুয়ায়। গ্রেফতার তিন জন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুর থানার মুকুন্দপুরের বাসিন্দা নিরুপমা চক্রবর্তী ও তাঁর সঙ্গীরা বেশ কিছুদিন ধরে পাণ্ডুয়া খন্যানে এই চক্র চালাচ্ছিলেন। হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরিপ্রার্থীরা আসতেন সেখানে। রেলের মাল গুদামে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া হত বলে অভিযোগ।
বুধবার চাকরিপ্রার্থীদের খন্যানের শিব মন্দির ফুটবল খেলার মাঠ সংলগ্ন একটি বাড়িতে কাগজে সই করাতে ডাকেন নিরুপমা। সেখানেই চাকরিপ্রার্থীরা জানতে পারেন, তাঁরা প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। এরপরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শান্তনু সরকার বিষয়টি জানতে পেরে পাণ্ডুয়া থানা ওসি প্রশান্ত ঘোষকে খবর দেন। পান্ডুয়া থানার পুলিশ নিরুপমা চক্রবর্তী সহ আরও দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাণ্ডুয়া থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের কথায় অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয়।
প্রীত গুপ্তা নামে এক চাকরিপ্রার্থী জানান, তাঁদের বলা হয়েছিল রেলের মাল গুদাম এখন সরাসরি রেল চালাচ্ছে। সেখানে স্থায়ী চাকরি দেওয়া হবে। খবর পেয়ে পুলিশ চলে এলে নিরুপমা বলেন, রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ফর্ম ফিলাপ চলছে। তখনই চাকরিপ্রার্থীদের কাছে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় চাঁপাহাটির বাসিন্দা বাবুন হাঁসদা চাকরির জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি আমার ও স্ত্রীর চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম। রেলের মাল গুদামের আই কার্ড দেওয়া হয় কিন্তু চাকরি হয়নি।” নিরুপমা চক্রবর্তী-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়, যাদবপুরের নিরুপমা চক্রবর্তী, গোঘাটের শ্রীকান্ত চামড়ে ও সৌভিক মণ্ডলকে। ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। এই চক্রের সঙ্গে বড় কোনও চাঁই জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।