আরামবাগ: বৃষ্টি থামতেই এবার সরাসরি মাঠে মাঠে ঘুরছে ইনস্যুরেন্স এজেন্সি। কৃষকরা আলু চাষের ঋণ নেওয়ার সময় বিমা বাবদ প্রিমিয়াম জমা দেয় স্থানীয় সমবায় সমিতিতে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কতটা ক্ষতি হয়েছে আলু চাষের সেই দিকে নজর রাখতেই স্থানীয় সমবায় সমিতির ম্যানেজারকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে মাঠে ঘুরছেন আলু চাষের ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
জৈব ও রাসায়নিক সার জমিতে ছড়িয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি তৈরি করে নতুন আলু বীজ বসিয়েছিলেন চাষিরা। আর সেই আলু জমি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বৃষ্টিতে জল জমে নষ্ট হয়েছে। মাটিতে পোঁতা বীজ সবটাই পচে যাবে বলছেন চাষিরা। কারণ আলু ক্ষেত বেশি জল সহ্য করতে পারে না। এই জমি শুকোতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে । আবারও নতুন করে আলু বসাতে হলে খরচ দ্বিগুণ হবে। এবং আলু চাষও পিছিয়ে যাওয়ায় ফলনও কম হবে।
যদিও গোঘাটের কাটালি ও ভাদুর এলাকার চাষিদের অভিযোগ মাঠে লাগানো একশো শতাংশ আলু জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারা ক্ষতির সম্মুখীন। চাষিদের আলু চাষে ক্ষতি যে হয়েছে সে কথাই বলছেন গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল।
এক চাষি বলেন, “আমরা সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি। ওঁরা আসছেন, আমাদের ৯০ শতাংশ আলু লাগানোও হয়ে গিয়েছিল। ক্ষতি প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ। ওঁরা ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। যাতে আমরা কিছুটা ছাড় পায়, সেটাই চেষ্টা করছেন।” ঋণ যাতে মকুব করা হয়, সেটাই সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন চাষিরা।
সমবায় সমিতির ম্যানেজার বলেন, “জমিতে জল দাঁড়িয়ে। আলু তো একশো শতাংশই নষ্ট হয়ে যাবে। বিমা কোম্পানির কাছে আবেদন করছেন চাষিরা। সরকারের কাছে আবেদন যাতে ঋণ মকুব করা হয়। নতুন করে আলু লাগাতে বীজ, সার সবই লাগবে।” সমবায় সমিতি থেকে ২ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান।