হুগলিতে অনির্দিষ্টকালীন মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন, সংক্রমণ রুখতে কড়া প্রশাসন

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jul 20, 2021 | 5:58 PM

Hooghly: জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্যই এই কনটেইনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে।

হুগলিতে অনির্দিষ্টকালীন মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন, সংক্রমণ রুখতে কড়া প্রশাসন
প্রতীকী ছবি

Follow Us

হুগলি: করোনা সংক্রমণ রুখতে জেলায় একাধিক কনটেইনমন্ট ও মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করল হুগলি জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার, জেলা শাসকের তরফ থেকে এই মর্মে একটি নোটিস দেওয়া হয়। হুগলির প্রায় সাতটি পঞ্চায়েত-সহ একাধিক ব্লক ও পৌরসভার ওয়ার্ডকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন (Micro Containment Zone) হিসেবে ঘোষণা করা হল।

গোঘাট ব্লকের কামর পুকুর পঞ্চায়েত, আরামবাগ ব্লকের আরান্ডি পঞ্চায়েত ,খানাকুল ব্লকের নতিবপুর দু নম্বর পঞ্চায়েত, তারকেশ্বর ব্লকের সন্তোষ পুর পঞ্চায়েত,জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রশিদপুর পঞ্চায়েত, হরিপাল ব্লকের আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েত, ধনিয়াখালী ব্লকের বেলমুড়ি এবং সোমশ পুর গ্রাম পঞ্চায়েত মাইক্রোকনটেইনমেন্ট জ়োন (Micro Containment Zone) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

অন্যদিকে, পাণ্ডুয়া ব্লকের পাঁচঘরা, তোরগ্রাম,জামগ্রাম, সরাই টিননা,পাণ্ডুয়া এবং জোয়ার, ও দার্বাসিনি পঞ্চায়েত-সহ বলাগড়  ব্লকের গুপ্তিপাড়া ২ নম্বর এবং  জিরাটের গ্রাম পঞ্চায়েতকেও এই তালিকায় রাখা হয়েছে। মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োনের তালিকায় রয়েছে উত্তরপাড়া পৌরসভার ১০ নম্বর ও ২২ নম্বর, কোন্নগড় পৌরসভার ৬ নম্বর এবং চিনসুরা পৌরসভার ৪,৫,৬, ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড।

জেলার  কনটেইনমেন্ট জ়োনগুলির তালিকায় রয়েছে, গোঘাটের ১ নং পঞ্চায়েত, জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত, বলাগড়ের শ্রীপুর বলাগড়, চিনসুরা মগড়া ব্লকের কোদালিয়া ১ নং পঞ্চায়েত, চন্দ্রহাটির ২নং পঞ্চায়েত, পোলবা দাদপুর ব্লকের পোলবা,সুগন্ধ এবং মাকালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এছাড়াও রয়েছে, সিঙ্গুর ব্লকের গোপাল নগর পঞ্চায়েত ও সিঙ্গুর ২ নং পঞ্চায়েত-সহ শ্রীরামপুরের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।

জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্যই এই কনটেইনমেন্ট ও মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। যে এলাকাগুলি এই দুই তালিকায় রয়েছে সেই সমস্ত এলাকাই বিপদসীমায় রয়েছে।  চিহ্নিত এলাকাগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া দশের নীচে নামলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এই সময়ে জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর কোনওকিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে জেলাপ্রশাসন। বন্ধ থাকবে বাজার দোকানও। চিহ্নিত এলাকায় করোনা বিধি পালনে জোর দিতে হবে। খাদ্য় সামগ্রী কীভাবে এলাকাবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করা হবে।  রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শেষ পাওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গতকাল আক্রান্ত ৪৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯ জন। শনিবার ও রবিবার মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩ জন ও ২ জন। আরও পড়ুন: ‘বাঁকে না হোক, ঘটের জলই বাবার মাথায় ঢেলে যাব!’, তারকেশ্বরে প্রবেশে ‘কাঁটা’ প্রশাসন

Next Article