‘বাঁকে না হোক, ঘটের জলই বাবার মাথায় ঢেলে যাব!’, তারকেশ্বরে প্রবেশে ‘কাঁটা’ প্রশাসন

Tarakeshwar Temple: ভক্তরা জানিয়েছেন, বাঁক কাঁধে দেখলেই আটকাচ্ছে পুলিশ। মন্দিরের ভেতরে বাঁক কাঁধে যাওয়া যাচ্ছে না। 'নাছোড়বান্দা' ভক্তদের আর্জি কার্যত কানেই তুলছেন না পুলিশ কর্তারা।

'বাঁকে না হোক, ঘটের জলই বাবার মাথায় ঢেলে যাব!', তারকেশ্বরে প্রবেশে 'কাঁটা' প্রশাসন
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2021 | 11:41 PM

হুগলি: শ্রাবণ মাস পড়তেই যেন উধাও  করোনা! ঝাঁকে ঝাঁকে ‘বাবার মাথায় জল ঢালতে’ তারকেশ্বরের (Tarakeshwar) পথে যাত্রা করেছেন ভক্তরা।  কোভিড বিধি মেনেই ভক্তিতে রাশ টানল প্রশাসন। বাঁক কাঁধে সকল তীর্থযাত্রীদের প্রবেশে ‘কাঁটার’ মতো পথ রোধ করলেন পুলিশ আধিকারিকরা।

ভক্তরা জানিয়েছেন, বাঁক কাঁধে দেখলেই আটকাচ্ছে পুলিশ। মন্দিরের ভেতরে বাঁক কাঁধে যাওয়া যাচ্ছে না। ‘নাছোড়বান্দা’ ভক্তদের আর্জি কার্যত কানেই তুলছেন না পুলিশ কর্তারা। নিয়ম ভঙ্গ করে বাঁক কাঁধে নিয়ে ঢোকা যাবে না মন্দিরে এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। সংক্রমণ এড়াতেই এই বিশেষ ব্যবস্থা। সুপ্রিয় নস্কর নামে এক ভক্তের কথায়, “সেই কল্যাণী থেকে হেঁটে হেঁটে আসছি। আগের বছর লকডাউন ছিল বলে আসতে পারিনি। বাবার মাথায় এ বার জল ঢেলে যাব  বলেই এসেছি। এখন শুনছি বাঁক নিয়ে যাওয়া যাবে না। এমনি যেতে হবে। এত দূর থেকে জল নিয়ে এসে এভাবে ফেরত যাব! আজ ঘটে করেই জল নিয়ে গিয়ে বাবার মাথায় ঢালব।”

করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমস্ত মন্দিরের দরজা। গতবছরও লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল মন্দির। বন্ধ রাখা হয়েছিল শ্রাবণী মেলাও। সাম্প্রতিক কালে করোনার দৈনিক সংক্রমণ কমতে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেয় তারকেশ্বরের (Tarakeshwar) মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন ও মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, শ্রাবণ মাসে শিব পুজোর জেরে প্রতিবছরই বহু ভক্ত সমাগম হয়। চলে শ্রাবণী মেলাও। কিন্তু করোনার কথা মাথায় রেখে এ বছর মেলার আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকী, ফুল বেলপাতা দিয়ে পুজো বা বাঁকযাত্রাতেও এ বছর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্দির (Tarakeshwar) কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে তারপরেও কীভাবে দলে দলে বাঁক নিয়ে এসে মানুষ ভিড় করছেন? প্রশাসন সূত্রে খবর, মন্দির চত্বরে কেউ যাতে জলভর্তি বাঁক নিয়ে যেতে না পারে সেইজন্য  বিশেষ প্রহরা বসানো রয়েছে। মোড়ে মোড়ে রয়েছে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। বাঁক রেখে ছোট ঘটে জল নিয়ে তবেই যাওয়া যাচ্ছে মন্দিরে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তারকেশ্বর নয়, বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষ্যে খুলেছিল দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির। নিয়ম মেনে ৫০ শতাংশ জমায়েত ও মাস্ক স্য়ানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পুজোর দিনে কার্যত সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি দেখা যায় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। মাস্কহীন অরক্ষিত মুখগুলিই চোখে পড়ে বেশি। যা সংক্রমণের ভয় বৃদ্ধি করেছে বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। যদিও, তারকেশ্বরে কোভিড বিধি মেনেই পুজো দেওয়ার ব্য়বস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। আরও পড়ুন: হাতে বিপত্তারিণীর লাল ধাগা, গলায় ঝুলছে মাস্ক! করোনাকালে ভয় ধরাচ্ছে দক্ষিণেশ্বর