হুগলি: ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’ অনুষ্ঠানে গ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শোনেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনার পর আচমকাই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তোপ দাগেন সরকারি আধিকারিদের উপর বলেন, “সরকারি আধিকারিকদের স্যার বললে মাথায় উঠে পড়ে।”
কী ঘটেছিল?
হুগলির দেবানন্দপুরের মালিকপাড়া, বিশালক্ষ্মীতলা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নলবাহিত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বাড়ি-বাড়ি জলের পাইপ পৌঁছে গেলেও জল পড়ে না। পঞ্চায়েতে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি অভিযোগ বাসিন্দাদের। এর আগেরবার দিদির সুরক্ষা কবচে গিয়ে অভিযোগ শুনেছিলেন বিধায়ক। কথা দিয়েছিলেন জলের সমস্যা মেটানোর কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সোমবার বিধায়ক দেবানন্দপুরে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ রাখতে বলেন। অনেক বাসিন্দায় রাস্তা,পানীয় জল,বিদ্যুৎ এর খুঁটি নিয়ে অভিযোগ জানান। জলের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকেই পিএইচই দফতরের ইঞ্জিনিয়রকে ফোন করেন। কেন জল পাচ্ছেন না জিজ্ঞাসা করেন।
বিধায়ক জানান, “যাঁরা কাজের বরাত পেয়েছিল তাঁদের গাফিলতিতেই জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে পারছে না। কী করে এই সমস্যা মেটানো যায় তা দেখা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে সদস্যদের উপর বিরক্ত হয়ে মানুষ আমাকে ফোন করছে।” এরপর তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা সরকারি আধিকারিকদের স্যার বললে এমনই হবে। স্যার বললে তাঁরা মাথায় উঠে পরে। স্যার না বলে নাম ধরে অমুক বাবু তমুক বাবু বলা যেতে পারে।”
পিএইচই ঠিকাদার বিমল হালদার বলেন,”বিধায়ক বলছেন চার পাঁচ দিনে সমস্যা মেটাতে। কিন্তু কী করে সম্ভব। জলের সোর্স নেই। যে পাম্প চলছে তাতে পাঁচ হাজার বাড়িতে জল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু জলের লাইন দেওয়া হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি বাড়িতে।”
জল স্বপ্ন প্রকল্পে প্রত্যেক বাড়িতে জল দিতে গিয়ে এই সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনাবাদ এলাকায় জল না পেয়ে ঠিকাদারের লোকজনকে আটকে রাখে গ্রামবাসীরা। পরে বিধায়ক সেখানে গিয়ে সেই কর্মীকে উদ্ধার করেন। বিধায়ক বলেন,”ঠিকাদাররা যত নষ্টের গোরা। কী কাজ করতে হবে তার ওয়ার্ক ওর্ডার গ্রামবাসীরা দেখতে চাইলে দেখাতে হবে। রমজান মাস শুরু হয়েছে হোসেনাবাদ সংখ্যালঘু এলাকা তাই সেখানে জল না পেলে মানুষ ক্ষুব্ধ হবেই।”