হুগলি: ভোটবঙ্গে আবারও বিস্ফোরণ। আবারও রক্তাক্ত শৈশব। বোমা ফেটে মৃত্যু হল এক কিশোরের। আহত আরও দুই। হুগলির পাণ্ডুয়ায় মর্মান্তিক ঘটনা। আহত দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার তিন্না নেতাজি পল্লি কলোনিতে। জানা গিয়েছে মৃতের নাম রাজ বিশ্বাস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। পাণ্ডুয়াতে তার মামাবাড়ি। গরমের ছুটিতে মামাবাড়িতে এসেছিল সে। সোমবার সকালে পাড়ারই আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় ক্রিকেট খেলছিল। খেলার সময়ে বল গিয়ে পড়ে পুকুর পাড়ে। পুকুর পাড়ে আবর্জনার মধ্যে একটি বালতি রাখা ছিল। বাচ্চা ছেলেগুলো বুঝতে না পেরে বল তুলতে গিয়ে ওই বালতির মধ্যেই হাত ঢোকায়। তাতেই বিস্ফোরণ। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই কিশোর। বন্ধুকে ওই অবস্থায় দেখে ততক্ষণে বাকি দুজনও কাছে এগিয়ে যায়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বাকি দুজনের পা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর্তনাদ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় তিন জনকে রাস্তার ধারে পড়ে কাতরাতে দেখেন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আপাতত শান্ত এলাকায় কীভাবে কারা বোমা রেখে গিয়েছিল, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। ভোট বঙ্গে এই নিয়ে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদেও পরপর বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে। পাণ্ডুয়াকে এইভাবে ভোটের আবহে কিশোরের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের পারদ চড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা এড়ানো না যাওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনও।
হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বলছে, ওদিকে, যাবেন না আরও বোমা পাওয়া যাচ্ছে। বোমা দিয়ে ভোট হচ্ছে। এই কান্না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শুনতে পাচ্ছেন?” অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী, “এখন গোটা দায়িত্বই তো নির্বাচন কমিশনের হাতে। এসপি থেকে ডিএম সবই বদলি করে দিচ্ছে কমিশন। এরপরও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এর দায় কি কমিশন নেবে না?”