Kalyan Banerjee: মেয়ের কথা বলে ভোট চাইলেন কল্যাণ, কবীরশঙ্করকে বিঁধলেন ‘পরজীবী’ বলে

Ashique Insan | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 05, 2024 | 10:17 PM

Kalyan Banerjee: একইসঙ্গে কল্যাণ এদিন কিছুটা আবেগে ভর করেই বলেন, "একজন বাবার কাছে মেয়ে হচ্ছে সবথেকে আদরের, সবথেকে বড় সম্পদ। সেই মেয়ে যখন কষ্ট পায় বাবার হৃদয় ভেঙে যায়, সবথেকে বেশি কষ্ট পায়। সেই কষ্টের উত্তর ২০ মে আপনারা দিন।"

Kalyan Banerjee: মেয়ের কথা বলে ভোট চাইলেন কল্যাণ, কবীরশঙ্করকে বিঁধলেন পরজীবী বলে
কবীরশঙ্কর বোস ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

শ্রীরামপুর: ভোট প্রচারে গিয়ে প্রাক্তন জামাইকে ‘পরজীবী’ খোঁচা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বোস কল্যাণের প্রাক্তন জামাই। ভোটের ময়দানে এই ‘প্রাক্তন’ ইস্যু বারবার উঠে আসছে। রবিবারও তার অন্যথা হল না। এদিন শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে সভা করেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি বলেন, বিজেপি প্রার্থীর নিজস্ব কোনও পরিচিতি নেই। প্রাক্তন শ্বশুর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করতে হচ্ছে।

এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কী আছে শ্রীরামপুরে? কেন শ্রীরামপুরে কেন দাঁড়িয়েছেন? শ্রীরামপুরে যাঁর হাত ধরে এসেছিলেন, তিনি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এসে শ্রীরামপুর চিনেছিলেন। তার কী পরিচয়? লেখা আছে ব্য়ারিস্টার। কী মামলা করেছিলেন কেউ জানেন না। গত তিন চার বছরে কী মামলা করেছেন জিজ্ঞাসা করুন একটার নামও বলতে পারবেন না। বাড়ি, বংশ পরিচয় কেউ কিছুই জানেন না। শুধু একটাই পরিচয় প্রাক্তন শ্বশুরের নাম কল্যাণ ব্যানার্জী। তাই শ্রীরামপুর পার্লামেন্টে লড়তে হচ্ছে। এটা কারও পরিচয় হয়? একজন পরজীবী মানুষ কখনও ভোট চাইতে পারে? একটা ছেলে একটা পুরুষ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে পরিচয় নিয়ে প্রাক্তন শ্বশুরের নাম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাই যদি পরিচয় হলে ভোট পেতে পারে?”

একইসঙ্গে কল্যাণ এদিন কিছুটা আবেগে ভর করেই বলেন, “একজন বাবার কাছে মেয়ে হচ্ছে সবথেকে আদরের, সবথেকে বড় সম্পদ। সেই মেয়ে যখন কষ্ট পায় বাবার হৃদয় ভেঙে যায়, সবথেকে বেশি কষ্ট পায়। সেই কষ্টের উত্তর ২০ মে আপনারা দিন।”

এ প্রসঙ্গে কবীরশঙ্কর বোস বলেন, “১৫ দিনের থেকেও কম সময় বাকি ভোটের। পরিষ্কার হচ্ছে যে উনি পার্সোনাল অ্য়াটাকে নেমে যাচ্ছেন। অভিজিৎ গাঙ্গুলিকেও খারাপ কথা বলেছেন। ওনার স্বভাব অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। সেটা উনি করছেন। উনি তো ওনার দলের বিধায়ককে গাড়ি থেকেও নামিয়ে দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ওনার খারাপ ব্যবহার ওনার পরিচয়। আমি ওনার খারাপ ব্যবহারের পাল্টা খারাপ ব্যবহার করব না। আমার বাবা মা সেটা শেখায়নি। আমি রাজনৈতিক লড়াই রাজনৈতিকভাবেই লড়ছি।”

Next Article