হুগলি: আলুর দাম কেজি প্রতি এক টাকা কমালেন ব্যবসায়ীরা। কলকাতার বাজারে ৩০ টাকায় মিলবে আলু। জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। কলকাতার বাজারে আলুর দামে রাশ টানতে হুগলির আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
হরিপাল পঞ্চায়েত সমিতির মিটিং হলে ছিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না সুফল বাংলার প্রজেক্ট ডিরেক্টর গৌতম মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় ও রাজ্য হিমঘর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পতিত পাবন দে সহ আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। আলুর দাম নিয়ন্ত্রনে নবান্নে টাস্কফোর্সের বৈঠক হয়।
ভিন রাজ্যে আলু রফতানি এবং আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে বৈঠক ডাকা হয়।
হুগলি জেলার আলু মূলত কলকাতায় যায়। সেই আলুর দাম চড়তে থাকায় তা কমাতে উদ্যোগী সরকার। মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দেন বেচারাম মান্নাকে। ভিন রাজ্যে আপাতত আলু রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় টাস্ক ফোর্স। আলুর দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের দুদিন সময় দেওয়া হয়। এদিনের বৈঠকে সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানান, সাতাশ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল জ্যোতি আলু। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২৬ টাকায় আলু দেওয়া হয়। সোমবার থেকে বাজারে ওই দামে আলু পৌঁছে যাবে। ভিন রাজ্যে আলু যেমন যাচ্ছে যাবে। এখনও হিমঘরগুলোতে প্রায় দশ লক্ষ মেট্রিকটন আলু মজুত আছে। নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত হিমঘর খোলা রাখার কথা বলেছে সরকার।
কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “আলুর দাম কমাতে টাস্কফোর্সের মিটিং হয়েছে। সেখানে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ বলেছিলেন আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করতে। সেই মতো মিটিং হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করবে।সেই আলু কলকাতায় ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।”
পাশাপাশি তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন, “সুফল বাংলায় কলকাতায় আমরা ২৮ টাকায় আলু বিক্রি করব। সোম-মঙ্গলবার থেকে বাজারে প্রভাব পড়বে। ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার চাপ দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা গুরুত্ব না দিলে সরকার ব্যবস্থা নেবে।” পাইকারি দরে ২৬ টাকা হলে খুচরো বাজরে বেশি নিচ্ছে কিনা, তা নজরদারি করা হবে।